জীবন ঝুঁকিতে ফেলবেন না, ব্রিটিশ যুদ্ধজাহাজকে ইরানের হুঁশিয়ারি
যুক্তরাজ্যের তেলবাহী একটি ট্যাঙ্কার আটকের সময় ‘জীবন ঝুঁকিতে ফেলবেন না’ বলে ব্রিটিশ একটি যুদ্ধ জাহাজের ক্রুদের সতর্ক করে দেয় ইরানের সামরিক বাহিনী। উপসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মাঝে গত সপ্তাহে হরমুজ প্রণালী থেকে জলসীমা লঙ্ঘনের দায়ে যুক্তরাজ্যের তেল ট্যাঙ্কার আটকের সময় এই সতর্কবার্তা দেয়া হয়।
সোমবার ওই ঘটনার প্রকাশিত এক ভিডিওতে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। আকাশ থেকে ধারণকৃত ওই ভিডিও ফুটেজে যে যুদ্ধজাহাজটি দেখা যায়, সেটি যুক্তরাজ্যের এইচএমএস মনট্রোস বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, যুদ্ধজাহাজ মন্ট্রোস এখন পারস্য উপসাগরে অপর যুদ্ধজাহাজ এইচএমএস ডানকানের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের তেলবাহী ট্যাঙ্কার এবং জাহাজের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে। ইতোমধ্যে যুদ্ধাজাহাজ ডানকান হরমুজ প্রণালীতে পৌঁছেছে।
গত ১৯ জুলাই ব্রিটিশ পতাকাবাহী তেল ট্যাঙ্কার স্টেনা ইমপারোকে আটক করে ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি)। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত একটি ভিডিও ফুটেজে সেই সময় ইরানের নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে বলতে শোনা যায়, ব্রিটিশ যুদ্ধজাহাজ ফক্সট্রট ২৩৬; এটি নৌবাহিনীর সেপাহ পেট্রোল নৌকা। এটাতে আপনাদের হস্তক্ষেপ করার দরকার নেই।
জবাবে ব্রিটিশ যুদ্ধজাহাজের এক কর্মকর্তাকে বলেন, এটি ব্রিটিশ যুদ্ধজাহাজ ফক্সট্রট ২৩৬ : আমি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এই প্রণালীর আশপাশে দিয়ে চলাচলকারী মার্চেন্ট জাহাজের পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছি।
এর জবাবে ইরানি কর্মকর্তা বলেন, ব্রিটিশ যুদ্ধজাহাজ ফক্সট্রট ২৩৬, এটি নৌবাহিনীর সেপাহ পেট্রোল নৌকা : আপনার জীবনকে বিপদের মুখে ফেলবেন না। ব্রিটিশ নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে আবারো বলতে শোনা যায়, এটি ব্রিটিশ যুদ্ধজাহাজ ফক্সট্রট ২৩৬, সামনে চলুন।
আরও পড়ুন > বেয়ার গ্রিলসের সঙ্গে মোদির দুঃসাহসী অভিযান
এবার ইরানি ওই কর্মকর্তা বলেন, ব্রিটিশ যুদ্ধজাহাজ ফক্সট্রট ২৩৬, এটি নৌবাহিনীর সেপাহ যুদ্ধজাহাজ... আপনার ট্যাঙ্কার ব্রিটিশ হ্যারিটেজ এখন আমাদের নিয়ন্ত্রণে... আমার এই অভিযানে আপনাকে হস্তক্ষেপ না করার জন্য নির্দেশ দেয়া হলো।
গত ১১ জুলাই ব্রিটেন জানায়, তাদের তিনটি তেলবাহী বাণিজ্যিক ট্যাঙ্কারকে হরমুজ প্রণালীর কাছে বাধা দেয়ার চেষ্টা করেছিল ইরান।
গত মাসে ইরানে সামরিক হামলা চালাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট দেশটির সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দেয়ার পর একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করেন। মার্কিন একটি গোয়েন্দা ড্রোন ইরান ভূপাতিত করার পর থেকে এই উত্তেজনা শুরু হয়।
সূত্র : এএফপি।
এসআইএস/জেআইএম