‘মমতার তোষণ-নীতির জন্য সামাজিক সম্প্রীতি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:০৬ পিএম, ২৮ জুলাই ২০১৯

বিদায়ের আগ মুহূর্তে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসেবে কেশরীনাথ ত্রিপাঠি। তৃণমূল কংগ্রেস দলীয় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তিনি বলেছেন, ‘মমতার তোষণ-নীতির কারণে রাজ্যের সামাজিক সম্প্রীতি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।’

মুখ্যমন্ত্রী মমতা তিনি বলেন, ‘তার তোষণ-নীতির জন্য পশ্চিমবঙ্গে সামাজিক সম্প্রীতি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। সবার প্রতি সমান মনোভাব পোষণ করা উচিত তার। রাজ্যের প্রতিটি অধিবাসীকে বৈষম্যহীন ভাবে এবং সমদৃষ্টিতে দেখতে হবে।’

রাজ্যপালের এই বক্তব্যের পর প্রত্যাশিতভাবেই রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। রাজ্যপালের এমন মন্তব্যের পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী এবং তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন সময় বলেছি, রাজ্যপালের কার্যালয় বিজেপির দলীয় অফিসে পরিণত হয়েছে। চলে যাওয়ার সময় তার এই মন্তব্য সে কথাই প্রমাণ করল।’

বিজেপির রাজ্য সভাপতি ও সাংসদ দিলীপ ঘোষ কেশরীনাথ ত্রিপাঠির পক্ষ নিয়ে বলেছেন, ‘রাজ্যপাল আমাদের কথাই বলেছেন। রাজ্যপালের এই বক্তব্যের জন্য বাংলার মানুষ তার কাছে ঋণী হয়ে থাকবে।’রাজ্যপালের মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেসও।

রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র প্রশ্ন তুলেছেন, ‘রাজ্যপাল এতদিন এ সব বললেন না কেন? প্রকৃতপক্ষে তিনি নিজেই তোষণের রাজনীতিকে সমর্থন করে এসেছেন।’ সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘রাজ্যপালের মুখে এ সব মানায় না। কারণ মমতা সাম্প্রদায়িকতার প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতি করেছেন। একতরফা নয়।’

শনিবার বার্তা সংস্থা পিটিআইকে দেয়া সাক্ষাৎকারে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি। এর পিছনে রাজনৈতিক বা সাম্প্রদায়িক কারণ থাকতে পারে বলে মত তার। বাংলাদেশি অথবা রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়টিও উড়িয়ে দেয়া যায় না।।’

আজ রোববার রাজ্যপাল পদে পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষে বিদায় নিচ্ছেন কেশরী। ২০১৪ সালের ২৪ জুলাই তিনি এই রাজ্যের রাজ্যপাল হিসাবে যোগ দেন তিনি। আগামী ৩০ জুলাই নতুন রাজ্যপাল হিসাবে শপথ নেবেন সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবী জগদীপ ধনকর।

এসএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।