ছাত্র আন্দোলন নিরসনে তাগিদ সংসদীয় কমিটির
শিক্ষাখাতে আরোপিত ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস ছেড়ে রাজপথে আন্দোলনে নামাকে গ্রহণযোগ্য হিসেবে দেখছে না সংসদীয় কমিটি। কমিটি অতিদ্রুত চলমান ছাত্র আন্দোলন নিরসনে সরকারকে উদ্যোগী হওয়ার তাগিদ দিয়েছে।
কমিটির সদস্যরা মনে করেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কর্তৃপক্ষ নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করতেই ছাত্রদের রাস্তায় নামিয়েছে। এ জন্য সরকারও দায় এড়িয়ে যেতে পারে না। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষামন্ত্রীও এ অবস্থার জন্য দায়ী।
রোববার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।
কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, আবদুল মতিন খসরু ও সফুরা বেগম উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ভ্যাট নিয়ে সৃষ্ট সমস্যা সংকটে পরিণত হওয়ার আগেই সমাধান করতে হবে। অন্যথায় জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে। তিনি আরোপিত ভ্যাট পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমি আগেও বলেছি বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা দরকার। তবে ছাত্ররা যেভাবে রাস্তায় নেমেছে সেটাও গ্রহণযোগ্য নয়।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্যে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, যেভাবে ছাত্রদের রাস্তায় নামিয়ে দিয়েছেন, তার পেছনটাও দেখতে হবে। যদি অনুমোদন বাতিল হয়ে যায়, তাহলে কোথায় যাবেন?
তিনি আরো বলেন, আপনি নন প্রফিটেবল (অলাভজনক) বলে প্রফিট (লাভ) করে নিবেন। আর সরকারকে কিছু দেবেন না। তা তো হয় না। তবে যাই হোক সমস্যা সংকটে পরিণত হওয়ার আগে মীমাংসা করতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রীর উদ্দেশ্যে সুরঞ্জিত বলেন, আমাদের শিক্ষামন্ত্রী যেসব ‘হলিস্টিট’ কথা বলছেন, সেটা ঠিক না। আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দিলেন কেনো, আর দিলেনই যদি তাহলে এগুলো চলে না কেনো?
এছাড়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সংসদীয় কমিটির এই সভাপতি। তিনি বলেন, ৮৩ টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশই কি পড়ায় তা নিয়ে প্রশ্ন আছে।
ইউনির্ভাসিটি করতে হলে অন্ততঃ একটা ক্যাম্পাস তো থাকতে হয়। অনেকগুলোর সেগুলোও নেই। কোন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষককে চ্যান্সেলর ও ভাইস চ্যান্সেলর করে চালিয়ে দেয়। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় মুঞ্জুরি কমিশনকে আরো তীক্ষ্ণ নজরদারী করা জরুরি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এইচএস/এসআইএস/আরআইপি