লোকালয়ে বাঘ, পিটিয়ে মারল গ্রামবাসী (ভিডিও)

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৩৩ এএম, ২৭ জুলাই ২০১৯

লোকালয়ে ঢুকে পড়া একটি বাঘকে গণপিটুনি দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেছে ভারতের স্থানীয় গ্রামবাসী। মোবাইলে ধারণ করা ওই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানানো শুরু হলে ঘটনার সঙ্গে যুক্ত চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

ভারতে বাঘসহ বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী হত্যার ঘটনা যে দিন দিন বেড়েই চলেছে এটি তার সর্বশেষ উদাহরণ। তবে স্থানীয় কর্মকর্তারা বলছেন, বাঘটি লোকালয়ে ঢোকার পর গ্রামবাসীদের আক্রমণ করে। বাঘের আক্রমণে আহত নয়জনের মধ্যে একজনকে হাসপাতালে নেয়ার পর মারা গেছেন।

বিশেষজ্ঞরা এর জন্য বন্যপ্রাণীদের অভয়ারণ্য এবং পর্যাপ্ত খাবার ব্যবস্থা না থাকাকেই দায়ী করছেন। তারা বলছেন শুধু বাঘ নয় সব ধরনের বন্যপ্রজাতি তীব্র খাদ্য সংকটে পড়েছে। তাই তারা লোকালয়ে ঢুকে পড়তে বাধ্য হচ্ছে।

বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ভারতের উত্তরপ্রদেশের ঘটনাটি ঘটেছে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বৈভব শ্রীবাস্তব বলেন, প্রদেশের পিলিভিত নামক একটি অভয়ারণ্য থেকে বাঘটি লোকালয়ে ঢুকে পড়লে হত্যার শিকার হয়।

বৈভব শ্রীবাস্তব জানালেন, বাঘটি গ্রামে ঢোকার বিপুলসংখ্যক সশস্ত্র মানুষ সেটিকে ঘিরে ফেলে। তারা চারদিকে এটিকে ফাঁদে ফেলার পর বিভিন্ন অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। গ্রামবাসীদের সবার হাতে ছিল কাঠের লাঠি এবং বর্শা।

ম্যাজিস্ট্রেট জানালেন বাঘটি হত্যার ঘটনায় ৩৩ জন জড়িত থাকলেও এখন পর্যন্ত মাত্র চারজনকে গ্রেফতার করা গেছে। ম্যাজিস্ট্রেট জানালেন, মূলত বাঘটি যখন মানুষের ওপর আক্রমণ করে তখনই গ্রামবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।

ফোনে ধারণ করা ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ক্ষিপ্ত গ্রামবাসী বাঘটিকে চারদিক থেকে নানাভাবে আঘাত করছে। বাঘটি কাবু হয়ে গেলেও তারা সেটি মারতে থাকে। একপর্যায়ে বাঘটি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তারপর মৃত্যু নিশ্চিত করে ক্ষান্ত দেন গ্রামবাসীরা।

২০১৮ সালে গোটা ভারতে বাঘের নির্মম আক্রমণের শিকার হয়ে প্রায় ৩০ জন মানুষ প্রাণ হারান। আর একইসঙ্গে মানুষের হাতে ৬০টিরও বেশি বাঘের মৃত্যু কিংবা হত্যা করা হয়। গোটা বিশ্বের মোট বাঘের অর্ধেকের বেশির বাস ভারতে।

এসএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।