মেয়ে হওয়ায় হত্যার পর ঘরের মধ্যেই লুকিয়ে রাখল দম্পতি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:২৮ এএম, ২৬ জুলাই ২০১৯
প্রতীকী ছবি

সদ্যোজাত কন্যাসন্তানকে খুনের অভিযোগ উঠেছে বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে। এমন নৃশংস ঘটনা ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ থানার ঠাকুরপল্লি এলাকায়। প্রতিবেশীরা পচা গন্ধ পেয়ে পুলিশে খবর দিলে তাদের বাড়ি থেকেই উদ্ধার করা হয় একটি সদ্যোজাত শিশুর মরদেহ। ইতোমধ্যেই মৃত শিশুটির মাকে আটক করেছে পুলিশ। মেয়ে সন্তান হওয়ার কারণেই শিশুটিকে তার বাবা-মা হত্যা করেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।

সাত মাস আগে বনগাঁর ঠাকুরপল্লি এলাকার বাসিন্দা সুবোধ সরকারের বাড়ি ভাড়া নেয় দীপঙ্কর ও মনীষা সরকার। প্রথম থেকেই ওই দম্পতির আচরণ অদ্ভুত মনে হয়েছিল স্থানীয়দের কাছে। ওই নারীকে দেখে অনেকেই অনুমান করেন যে, তিনি অন্তঃসত্ত্বা। কৌতুহলবশত স্থানীয়রা জিজ্ঞেসও করেন। কিন্তু কখনও এ বিষয়ে কাউকে কোনও জবাব দেননি ওই দম্পতি।

বরং স্ত্রীর শারীরিক অবস্থার কথা লুকাতে প্রতিবেশীদের একেক রকম গল্প শোনায় দীপঙ্কর। বলা হয়, মনীষাদেবীর পেটে টিউমার হয়েছে। সে কথাই বিশ্বাস করে নিয়েছিলেন সকলেই। এরপর সোমবার ওই ব্যক্তির বাড়ি থেকে বাচ্চার কান্নার শব্দ পায় প্রতিবেশীরা। তাদের ঘরে গেলে রক্ত দেখতে পান স্থানীয়রা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, টিউমার অপারেশনের নামে স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করে দীপঙ্কর।

এর কয়েকদিন পর বুধবার রাত থেকে ওই দম্পতির বাড়ির পাশ থেকে দুর্গন্ধ পাচ্ছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। সন্দেহ হওয়ায় বৃহস্পতিবার সকালে থানায় খবর দিয়ে ওই দম্পতির বাড়িতে হাজির হন স্থানীয়রা। এরপর ঘরে তল্লাশি চালিয়ে একটি কাপড়ের পুঁটলি পায় পুলিশ। সেটির মধ্যে থেকেই উদ্ধার হয় সদ্যোজাত শিশুটির মরদেহ। এরপরই মনীষাকে আটক করে পুলিশ। কিন্তু এখনও খোঁজ মেলেনি দীপঙ্করের।

পুলিশ জানিয়েছে, ইতোমধ্যেই ওই সদ্যোজাত শিশুর মরদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে স্থানীয়দের অনুমান, কন্যাসন্তান হওয়ার কারণেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে স্বামী-স্ত্রী মিলে। আর সে কারণেই হয়তো স্ত্রীর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি সবার কাছে গোপন রেখেছিলেন তারা।

টিটিএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।