ফের রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হতে পারে কর্ণাটকে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৪৪ এএম, ২৬ জুলাই ২০১৯

ভারতের কর্ণাটকে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ভেঙে গেছে। গত ২৩ জুলাই বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারাস্বামীর সরকার আস্থা ভোটে হেরে গেলে সরকার ভেঙে দেন স্পিকার। এরপর গভর্নরের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন মুখ্যমন্ত্রী।

বিধানসভায় আস্থা ভোটে কংগ্রেসের জোট সরকারের পক্ষে পড়ে ৯৯টি, অপরদিকে ১০৫টি ভোট পড়ে বিজেপির পক্ষে। জোট সরকারের বিরুদ্ধে আস্থাভোটে জেতার পর কর্ণাটকের গভর্নর বাজুভাই বালার সঙ্গে রাজ্যের বিজেপি প্রধান ও সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা দেখা করেন।

কিন্তু আস্থা ভোটে জয়ের ৪৮ ঘণ্টা পরেও বিজেপির সভাপতি অমিত শাহর সবুজ সংকেত পাননি ইয়েদুরাপ্পা। ফলে এই মুহূর্তে কর্ণাটক রাজ্য সরকারহীন। এ পরিস্থিতিতে কর্ণাটকে সপ্তমবারের মতো রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হতে পারে। কারণ সরকার গঠন না করলে আর কোনো উপায় থাকবে না বিজেপির।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কর্ণাটকে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ফেলতে বিজেপি যতটা তৎপরতা দেখিয়েছে, গড়তে ততটা সক্রিয়তা দেখাচ্ছে না। উল্টে ধীরে চলো নীতি নিয়েছে তারা।

আরও পড়ুন>> কর্ণাটকে কংগ্রেস সরকারের পতন

১৯৭১ সালে প্রথমবার কর্ণাটকে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়েছিল। শেষবারের মতো ২০০৭ সালে এখানে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়েছিল। ক্ষমতার লোভে দলত্যাগ করেন নেতারা। কর্ণাটকেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। এবার দলবদল করালেও বিধায়কদের সরকারিভাবে নিজেদের দলভুক্ত করতে পারেনি। এ কাজের অনেকটাই নির্ভর করছে কর্ণাটক বিধানসভার স্পিকার কেআর রমেশকুমারের সিদ্ধান্তের ওপর।

গতকাল বৃহস্পতিবার বেঙ্গালুরুতে ফিরে এসেছেন কর্ণাটকের কংগ্রেস ও জেডিএস বিদ্রোহীরা। স্পিকার তাদের বিধায়ক পদ খারিজ করে দিলে, দলে নিয়ে বিজেপির কোনো লাভ হবে না। এমনকি উপনির্বাচন হলেও বিজেপি এদের প্রার্থী করতে পারবে, কিন্তু জিতলে মন্ত্রী করতে পারবে না। তাই এদের দলে নেয়া তখন বোঝা হয়ে যাবে।

এদিকে স্পিকার রমেশকুমারকে নানাভাবে হেনস্থা করেছেন বিদ্রোহী বিধায়করা। এমনকি তার নামে বার বার সুপ্রিম কোর্টে নালিশ জানিয়েছেন। এ পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক মহলের অধিকাংশের মতে, স্পিকার এসব বিরোধীদের বিধায়ক পদ বাতিল করতে পারেন। আর এতে সমস্যায় পড়বেন বিধায়করা। কারণ আগামী ৫ বছরের মধ্যে তারা আর মন্ত্রী হতে পারবেন না।

বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এ অবস্থায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে ৬ মাস পর নতুন করে বিধানসভার ভোট হলে, বিজেপির অনেক বেশি লাভ হবে।

এমএসএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।