ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা খারিজ
ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ দৈনিক আলোর কণ্ঠ পত্রিকার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মানহানির মামলা আদালত খারিজ করে দিয়েছে। রোববার দুপুরে ঠাকুরগাঁও সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সুকান্ত কুমার সাহা এ আদেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এনামুল হক (দৈনিক উত্তরা), রহিম উল আলম খোকন (বাংলা বাজার), নার্গিস চৌধুরী (দেশ বাংলা), আঞ্জুমান আরা বন্যা (আমাদের সময়), মো. মাসুদ বিপ্লব (ডেসটিনি) নামে ৫ ব্যক্তি সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত না থেকে নিজেদের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে অপসাংবাদিকতায় জড়িত থাকায় এবং ২/১ জন ২ বছরের অধিক সময় পর্যন্ত ওই পেশায় নিস্ক্রিয় থাকায় ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাদের কারণ দর্শানরি নোটিশ প্রদান করা হয়।
কিন্তু উল্লেখিত ব্যক্তিরা সাংবাদিকতায় জড়িত থাকার উপযুক্ত প্রমাণসহ সন্তোষজনক জবাব দাখিলে ব্যর্থ হওয়ায় নির্বাহী কমিটির সভায় তাদের প্রাথমিক সদস্য পদ বাতিল করা হয়।
এ বিষয়ে গত ৬ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখের দৈনিক আলোর কণ্ঠ পত্রিকায় `৫ সাংবাদিকের প্রেসক্লাবের সদস্যপদ বাতিল` শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে বহিস্কৃত সাংবাদিক এনামুল হক বাদি হয়ে গত বছরের শেষ দিকে ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু তোরাব মানিক, সাধারণ সম্পাদক বদরুল ইসলাম বিপ্লব, দৈনিক আলোর কণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক রবিউল আলম রুবেল এবং ভারপ্রাপ্ত সম্পদক ফজলে ইমাম বুলবুলসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।
রোববার ঠাকুরগাঁও সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুকান্ত কুমার সাহার আদালতে ওই মামলার চার্জ গঠনের জন্য দিন ধার্য ছিল। চার্জ গঠনের জন্য উভয় পক্ষের আইনজীবীগণ দীর্ঘ শুনানিতে অংশ নেয় এবং অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীগণ আদালতে উপস্থাপন করেন যে, যেহেতু প্রকাশিত সংবাদটি মিথ্যা নয় সেহেতু মানহানির এ মামলাটি চলতে পারে না। দীর্ঘ শুনানি শেষে বিজ্ঞ বিচারক বাদির অভিযোগ খারিজ করে দেন এবং অভিযুক্তদের মামলার দায় হতে অব্যাহতি প্রদানের আদেশ দেন।
বাদি পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাড. শাহ মখদুম মৃদুল। অভিযুক্ত পক্ষে মামলার শুনানিতে অংশ নেন অ্যাড. আলতাফুর রহমান খান, অ্যাড. মমতাজুর রহমান বিপুল, অ্যাড. আ. হালিম, অ্যাড. মজিবর রহমান, অ্যাড. ইমরান আলী, অ্যাড. আনিসুজজ্জামান মিলন এবং অ্যাড. জাহিদ ইকবাল।
রবিউল এহসান রিপন/এসএস/আরআইপি