রোহিঙ্গা ফেরাতে মিয়ানমারের প্রস্তুতি একেবারে নগন্য : এএসপিআই

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৩৪ পিএম, ২৪ জুলাই ২০১৯

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন পুরো দমে শুরু করতে মিয়ানমার প্রস্তুত বলে দাবি করলেও অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক একটি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠান স্যাটেলাইটে পাওয়া রাখাইনের ছবি বিশ্লেষণ করে বলছে, বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়া লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে মিয়ানমারের প্রস্তুতি একেবারে নগন্য।

স্যাটেলাইট থেকে সংগৃহীত ছবি বিশ্লেষণের পর মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ার থিঙ্ক প্রতিষ্ঠান অস্ট্রেলীয় স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইনস্টিটিউট (এএসপিআই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

rohkhain

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলের রাখাইনে দেশটির সেনাবাহিনীর কঠোর অভিযানের মুখে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়। গণহত্যার উদ্দেশে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের নির্বিচারে হত্যা, গণধর্ষণ ও বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে জাতিসংঘ। ওই সময় প্রায় ৪ শতাশিক রোহিঙ্গা গ্রাম একেবারে ধ্বংস করে দেয় মিয়ানমার সেনাবাহিনী।

মিয়ানমার সরকার বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের অঙ্গীকার করলে স্যাটেলাইটে পাওয়া রাখাইনের ছবিতে তাদের বাড়িঘর ‘পুনর্নিমাণের কোনো আলামত’ পাওয়া যায়নি। রাখাইনের কিছু কিছু এলাকায় এখনও আবাসিক ভবন ধ্বংসের চিত্র দেখা গেছে।

এএসপিআই’র ইন্টারন্যাশনাল সাইবার পলিসি সেন্টারের গবেষক নাথান রুসার বলেন, ‘২০১৮ এবং ২০১৯ সাল জুড়ে আবাসিক এলাকায় অব্যাহত ধ্বংসযজ্ঞের আলামত পরিষ্কারভাবে শনাক্ত করা হয়েছে। ফলে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করার বিষয়ে মিয়ানমার সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।’

rohkhain

এ ব্যাপারে মন্তব্য জানতে মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাড়া দেননি। এমনকি রাখাইনের প্রশাসনিক বিভাগের উপ-পরিচালক কিয়াও সোর তুনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।

মিয়ানমার বার বার বলে আসছে যে, তারা রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে প্রস্তুত। তবে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু না হওয়ার জন্য বাংলাদেশকে দায়ী করছে নেইপিদো।

সূত্র : রয়টার্স।

এসআইএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।