লাদেনের খোঁজ দেন পাক গুপ্তচরই : দাবি ইমরানের
আমেরিকার টুইন টাওয়ার ধ্বংসের মূল হোতা, আল কায়দা প্রধান ওসামা বিন লাদেন কোথায় লুকিয়ে ছিলেন? সেই খবর পাকিস্তানের গুপ্তচরই আমেরিকাকে দিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
গতকাল মঙ্গলবার মার্কিন টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকারে এ দাবি করেন ইমরান খান।
সন্ত্রাসবাদ নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে ইমরান দাবি করেছেন, পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই মার্কিন প্রশাসনকে ওসামা সম্পর্কে এমন তথ্য দিয়েছিল, যা পরবর্তীতে মার্কিন গোয়েন্দাদের এই জঙ্গি নেতাকে খুঁজে বের করতে অনেক সাহায্য করেছিল।
২০১১ সালের ২ মে পাকিস্তানের অ্যাবটাবাদে বিন লাদেনের বাড়িতে ঢুকে তাকে ও তার পরিবারকে হত্যা করেছিল মার্কিন সেনার বিশেষ শাখা নেভি সিল। পাকিস্তান সরকার তখন অবশ্য দাবি করেছিল, ওসামা যে পরিবার নিয়ে অ্যাবটাবাদে আশ্রয় নিয়েছেন, সে খবর তাদের কাছে ছিল না।
২০১৩ সালে ফাঁস হওয়া একটি রিপোর্ট থেকে জানা যায়, ২০০১ সালে আফগানিস্তানে মার্কিন অভিযান শুরু হওয়ায় ২০০২ সালে সেখান থেকে পাকিস্তান চলে আসেন ওসামা। এরপর ২০০৫ সালে অ্যাবটাবাদে চলে আসেন বিন লাদেন। টানা ৬ বছর তিনি সেখানেই ছিলেন। তারপরও পাক গোয়েন্দারা কীভাবে তার উপস্থিতি টের পেলেন না, সে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল সেই রিপোর্টে।
২০১৫ সালে পাক সেনার দুই কর্তা সংবাদ সংস্থা এএফপি-কে জানান তাদের গোয়েন্দারাই তৎকালীন ওবামা প্রশাসনকে ওসামার ঘাঁটি নিয়ে প্রাথমিক তথ্য দিয়েছিলেন। যদিও আমেরিকা সম্পূর্ণ নিজস্ব কায়দায় রাতের অন্ধকারে অভিযান চালায়। সেই অভিযানে পাক সরকারকে শামিল করা হয়নি।
জঙ্গিদের মদদ দেয়ার যে অভিযোগ পাক সরকারের বিরুদ্ধে বার বার উঠেছে, তা নিয়ে শো-এর সঞ্চালক প্রশ্ন করেছিলেন ইমরানকে। যার জবাবে পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওসামার ঠিকানা নিয়ে তো আইএসআই-ই প্রথম তথ্য দেয় সিআইএ-কে। আপনি যদি মার্কিন গুপ্তচর সংস্থাকে জিজ্ঞাসা করেন, ওরাও বলবে ওসামার ঠিকানার প্রাথমিক তথ্য ফোনের মাধ্যমে ওদের দিয়েছিল আইএসআই। এর থেকে বেশি কিছু বলতে চাননি ইমরান। মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ-র কোনো কর্মকর্তাও এ নিয়ে মুখ খোলেননি।
যে চিকিৎসকের সাহায্যে ওসামার অবস্থান সম্পর্কে আমেরিকা নিশ্চিত হয়েছিল বলে জানা যায়, সেই শাকিল আফ্রিদি এখনও পাকিস্তানের জেলে বন্দি। তার মুক্তি নিয়ে ইমরানকে প্রশ্ন করেছিলেন শো-এর সঞ্চালক। যার জবাবে পাক প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এটা খুবই সংবেদনশীল বিষয়। শাকিলকে পাকিস্তানে বিদেশি সরকারের চর বলে মনে করা হয়।
জেএইচ/জেআইএম