দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি’র ওপর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বেরসকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। সরকার ভ্যাট প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেই আন্দোলন বন্ধ করা হবে বলে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন।
আন্দোলনরত ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সমন্বয়কারী রাকিবুল হাসান জাগো নিউজকে বলেন, আমরা আজ (রোববার) বিকেল ৫টা পর্যন্ত সময় দিয়েছি, এই সময়ের মধ্যে ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার ঘোষণা না দিলে তীব্র আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
তিনি বলেন, আমাদের মৌলিক অধিকারের অন্যতম শিক্ষা। এই শিক্ষা আমরা ভ্যাট দিয়ে আদায় করতে চাই না। আজ ভ্যাট দিবো না, কালও দিবো না কোনো বছরই দিতে চাই না।
এই আন্দোলনকে সরকারি দল ও পুলিশ পলিটিক্যাল আন্দোলন বলে চালানোর পায়তারা করছে উল্লেখ করে এই সমন্বয়কারী বলেন, আমরা আবারো বলছি এটা কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি নয়। আমরা আপামর সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষার আন্দোলনে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছি। অধিকার আদায়ের এই আন্দোলনে আমরা সব সময়ই ঐক্যবদ্ধ থাকবো।
ইবাইস বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাসেল বলেন, সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একই দাবিতে আন্দোলন করছি। তাই অবশ্যই ভ্যাট প্রত্যাহার করতে সরকারকে।
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির ছাত্র পবন বলেন, খামার কখনো দুধ দেয় না। দুধ দেয় গাভী। অর্থমন্ত্রী যে ঘোষণা দিয়েছে তাতে ছাত্রদেরকেই ভ্যাটটা পরোক্ষভাবে দিতে হবে। প্রত্যক্ষভাবে আগামী বছর থেকে দিতে হবে। আমরা ভ্যাট দিবো না।
তেজগাঁও বিভাগের ডিসি বিপ্লব সরকার জাগো নিউজকে বলেন, শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশ লাঠিচার্জ করতে চায় না। কিন্তু তারা রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করায় মিরপুর গাবতলী থেকে কলাবাগান, ও ফার্মগেটমুখী যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এর প্রভাব পড়েছে রাজধানীতে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে রোববার সকাল ১০টা থেকে রাজধানীর শ্যামলী, ধানমন্ডি, শঙ্কর, সাত মসজিদ, রামপুরা, উত্তরা, বনানী ও বসুন্ধরা এলাকাসহ বেশ কয়েকটি স্থানে রাস্তা অরবোধ করে শিক্ষার্থীরা। এ কারণে পুরো রাজধানী অচল হয়ে পড়েছে। ভেঙ্গে পড়েছে রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা। যান চলাচল থমকে গেছে। বেড়েছে মানুষের দুর্ভোগ।
অবরোধের কারণে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় হেঁটেই গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন কর্মজীবী মানুষ। শিক্ষার্থীরা ‘নো ভ্যাট অন এডুকেশন’, ‘ভ্যাট দেবো না গুলি কর’, `আমার বাবা এটিএম বুথ না`, রক্ত দেবো তবুও ভ্যাট দিবো না, বায়ান্নর হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার`সহ নানা স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে।
জেইউ/এআরএস/এমএস