বাংলাদেশ-ভারত-নেপালে বন্যায় তিন শতাধিক মানুষের প্রাণহানি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:০৬ পিএম, ২২ জুলাই ২০১৯
বাংলাদেশ, ভারত এবং নেপালের বেশ কিছু অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যায় সোমবার পর্যন্ত পাওয়া হিসাব অনুযায়ী তিন শতাধিক মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। ভয়াবহ বন্যাকবলিত কিছু কিছু অঞ্চলে বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় পানির স্তর বিপৎসীমার আরও উপরে উঠছে। ফলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে।
এক সপ্তাহ আগে থেকে শুরু হওয়া ভারী বৃষ্টিপাত ও বন্যায় ভারতের পূর্বাঞ্চলে জনজীবন বিপর্যন্ত হয়ে পড়েছে। সোমবার পর্যন্ত এ বন্যায় শুধু বিহার প্রদেশেই ১০২ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তবে গত শনিবার রাজ্য সরকার যে হিসাব দিয়েছিল নিহতের সংখ্যা ৬৭ জন।
গত দুই সপ্তাহ ধরে মৌসুমী বৃষ্টিপাত থেকে সৃষ্ট বন্যায় বাংলাদেশে ৪৭ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে এবং নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ১২০ জন। এ ছাড়া পার্বত্য দেশ নেপালের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যায় বেশ কিছু মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
বাংলাদেশে বন্যার কবলে পড়ে গৃহহীন হয়ে পড়েছে অন্তত সাত লাখ মানুষ। পাকিস্তানের বিভিন্ন অংশও বন্যার কবলে পড়েছে। গত পাঁচ দিনে এসব দেশে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। বাংলাদেশে আরও পাঁচটি জেলা বন্যায় প্লাবিত হওয়ার ঝূঁকিতে রয়েছে। দুটি নদীর পানি এখনও ক্রমাগতি বিপৎসীমার উপরে উঠছে।
বগুড়া জেলার সহকারী কমিশনার ফয়েজ আহমেদ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ‘আমাদের হাতে যথেষ্ট ত্রান থাকলেও তা বন্যাকবলিত মানুষের কাছে তা পৌঁছে দেয়াটাই বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেসব এলাকার প্লাবিত হয়েছে সেখানে ত্রাণ পৌঁছানোর মতো যথেষ্ট পরিবহন সুবিধা নেই আমাদের।’
বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন ভারতের চা-বাগান অধ্যূষিত প্রদেশ আসাম ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে। প্রদেশেটির বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যায় দশ লাখের বেশি মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, এখন পর্যন্ত প্রদেশটিতে ৬০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে ভারতের সবচেয়ে বড় এবং জনবহুল রাজ্য উত্তরপ্রদেশে গতকাল রোববার বজ্রপাতে অন্তত ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভারতের আবহাওয়া দফতর সোমবার জানিয়েছে, দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ কেরালার ১৪টি জেলায় মারাত্মক ভারী বৃষ্টিপাত হবে।
গত বছর শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে কেরালা। ভারী বৃষ্টিপাত এবং ভূমিধসের কারণে প্রায় ৫০০ মানুষের মৃত্যু ছাড়াও বাড়িঘর ধ্বংস এবং আবাদি জমির ফসল নষ্ট হয়। ভারতের মোট বৃষ্টির ৭৫ শতাংশই হলো মৌসুমী বৃষ্টিপাত।
এসএ/জেআইএম