বিক্রি হচ্ছে আস্ত একটি দ্বীপ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:২৪ এএম, ২২ জুলাই ২০১৯

স্কটল্যান্ডে দ্বীপসহ একটি বাড়ি বিক্রি করা হবে। দেশটির ফির্থ অব ক্লাইডে অবস্থিত সাউন্ড অব বুটের উত্তরে ইঞ্চমারনক নামক এই দ্বীপেই রয়েছে এমন এক বাড়ি, যার বাসিন্দা হতে পারেন আপনিও।

land

এই বাড়ির দাম পড়বে বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৩ কোটি। এই টাকায় শুধু বাড়িটিই নয়, কিনতে পারবেন পুরো দ্বীপটিই। মূল ভূখণ্ড থেকে এই দ্বীপে যেতে সময় লাগবে মাত্র ১০ মিনিট।

land

সাড়ে চার কিলোমিটার দীর্ঘ এই দ্বীপে রয়েছে প্রায় আট কিলোমিটার তটরেখা। ৬৬০ একরের এই জমিতে বিশালাকার একটি চার বেডরুমের বাড়ি ছাড়াও রয়েছে বেশ কিছু ছোট বাড়ি, একটি খামার, নিজস্ব ফেরি ও ফেরিঘাট।

land

জানা গেছে, ১৯৮৬ সালে এই দ্বীপের শেষ বসবাসকারীও বাড়ি বিক্রি করে চলে যান। ১৯৯৯ সালে এক পরিবার এই দ্বীপটি কিনলেও তারা এই বাড়িটিকে ছুটি কাটানোর জন্যই ব্যবহার করতেন। এখন তারাও বাড়িটি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়ায় আলোচনায় উঠে এসেছে এই দ্বীপ।

land

বাড়িটি বিক্রির দায়িত্বে রয়েছেন স্ট্রাট ও পার্কার নামক দুই রিয়েল এস্টেট এজেন্ট। তারা বলেন, এই দ্বীপ শুধু ঐতিহ্যে মোড়া নয়, এত বড় দ্বীপে খামার থাকায় যেমন দুগ্ধজাতীয় পণ্যের ব্যবসা করাও সম্ভব। তেমনই নদীর পাড়ে বিভিন্ন ওয়াটার স্পোর্টস ও মাছ ধরার সুযোগও আছে। রয়েছে হেরিং সিগালদের বাসাও।

land

এই দ্বীপের আছে এক ইতিহাসও। ব্রোঞ্জ যুগের কবর থেকে শুরু করে নানা যুদ্ধের চিহ্ন রয়েছে এখানে। অষ্টাদশ শতাব্দীতে অনেকবার জলদস্যুদের হাতে আক্রান্ত হয়েছে এই দ্বীপ। পরবর্তীকালে স্কটিশ কম্যান্ডো এবং ফ্রেঞ্চ কানাডিয়ানরা এই দ্বীপটিকে যুদ্ধের প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহার করে।

land

কথিত আছে, স্কটিশ সন্ন্যাসী সেন্ট মারনক এই দ্বীপেই বসবাস করতেন এবং এই দ্বীপে অবস্থিত গির্জাটিও তিনিই তৈরি করেন। সেলটিক ক্রসের বিভিন্ন ভাঙা পাথরের টুকরোও পাওয়া গেছে এই দ্বীপে।

land

১৩ শতকে নরওয়ে এবং স্কটল্যান্ডের মধ্যে হওয়া ‘লার্গ’ যুদ্ধে নিহত ব্যক্তিদের কবর দেয়ার জন্য এই দ্বীপকেই বেছে নেয়া হয়। ১৯ শতকে নেশামুক্তির জন্য অসুস্থদের এই দ্বীপে পাঠিয়ে দেয়া হতো। একসময় অপরাধ জগতের আস্তানাও হয়ে ওঠে এই দ্বীপ।

বিএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।