লুকিয়ে পর্ন দেখছেন? নজর রাখছে ফেসবুক, গুগল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:০২ পিএম, ২০ জুলাই ২০১৯

নীল ছবির প্রতি মানুষের আসক্তি অজানা নয়। পর্নোগ্রাফি অনেকেই দেখেন। কেউ কম, কেউ বেশি। আবার কেউ অনেক বেশি। তবে অনেকেই লুকিয়ে লুকিয়ে পর্ন দেখেন। কিন্তু সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা এই পর্ন দেখার অভ্যাসে বাধা আসতে পারে। লুকিয়ে দেখলেও, গোপন থাকে না আপনার পর্ন অভ্যাস!

মাইক্রোসফ্ট, পেনসিলভেনিয়া ইউনিভার্সিটি এবং কার্নেজি মেলন ইউনিভার্সিটি দীর্ঘদিনের গবেষণার পর একটি যৌথ সমীক্ষা প্রকাশ করেছে।

কমপক্ষে ২২ হাজার ৪৮৪টি পর্ন ওয়েবসাইটের ওপর পরীক্ষার পর এই সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে যে, ৯৩ শতাংশ ওয়েবসাইটই ইউজারের নেট-গতিবিধি ট্র্যাক করতে পারে। ওয়েবএক্সরে নামের একটি সফ্টওয়্যারের সাহায্যে এই ট্র্যাকিং করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পর্ন ওয়েবসাইট ছাড়াও ফেসবুক, গুগলের মতো নামি-দামি সাইটও ইউজারের নেট-গতিবিধি ট্র্যাক করে। গুগল যেখানে ৭৪ শতাংশ গতিবিধি ট্র্যাক করে; ফেসবুক সেখানে ১০ শতাংশ করে।

বিশেষজ্ঞদের এই রিপোর্ট বলছে, ব্রাউজারের ইনকগনিটো মোড-ও এই ট্র্যাকিং থেকে সুরক্ষিত নয়। অর্থাৎ ইনকগনিটো মোডে পর্ন দেখে আপনি যদি ভাবেন, কেউ জানছে না; তাহলে এটি ভুল ধারণা। সেই গতিবিধিও ট্র্যাক করতে পারে গুগল বা ফেসবুক।

প্রশ্ন আসবে, এর মাধ্যমে ওই ওয়েবসাইটের লাভ কী? আপনার সার্চিং প্রেফারেন্স বা ইন্টারনেট ঘাঁটার প্রবণতার ভিত্তিতেই বিজ্ঞাপন দেয় ফেসবুক, গুগলের মতো সাইট।

২০১৭ সালে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম পর্ন সাইট পর্নহাবে ২৮৫ কোটি দর্শক পর্ন দেখেছিল। অর্থাৎ, প্রতি সেকেন্ডে ৫০ হাজার পর্ন দেখা হয়েছিল। এর থেকেই স্পষ্ট বিশ্বে পর্ন আসক্তি কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে তথ্য ফাঁসের আশঙ্কাও।

এসআইএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।