ফিলিপাইনে ডেঙ্গুতে ৪৫৬ মৃত্যু, জরুরি সতর্কতা জারি
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ফিলিপাইনে চলতি বছরের জানুয়ারী থেকে এখন পর্যন্ত ৪৫৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। মহামারি আকার ধারণ করায় ‘জাতীয় ডেঙ্গু সতর্কতা’ জারি করেছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে দেশটির প্রায় ১ লাখ মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে। গত বছর একই সময়ের তুলনায় এবারের প্রথম ছয়মাসে ডেঙ্গু আক্রান্তের পরিমাণ বেড়েছে ৮৫ শতাংশ।
দেশটির চারটি অঞ্চলে ডেঙ্গুকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। চারটি অঞ্চল হলো, মিমারোপা, ওয়েস্টার্ন ভিসিয়াস, সেন্ট্রাল ভিসিয়াস এবং নর্দার্ন মিনাডানো। ওই অঞ্চলগুলোতে দুই কোটিরও বেশি মানুষ বসবাস করে যা ফিলিপাইনের মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশ।
আরও পড়ুন> গ্রিসে মার্কিন বিজ্ঞানীকে ধর্ষণের পর হত্যা
স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা ওই চারটি অঞ্চল ছাড়াও আরও নয়টি অঞ্চলের ডেঙ্গু পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। এর মধ্যে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তের নিজ প্রদেশ দাভাও রয়েছে। সিএনএন বলছে, ডেঙ্গু এখনও জাতীয়ভাবে মহামারি আকার ধারণ করেনি, স্থানীয় পর্যায়েই তা সীমাবদ্ধ রয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) দেয়া তথ্য মতে, প্রতিবছর গোটা বিশ্বে লাখ লাখ মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়। যার মধ্যে ৫ লাখ রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা সেবা দেয়ার প্রয়োজন পড়ে। আর আক্রান্ত এসব মানুষের মধ্যে প্রতি বছর ১২ হাজার ৫০০ জন মারা যায়।
ডেঙ্গুর ভাইরাসবাহী মশা কামড়ানোর চার থেকে সাত দিন পর ডেঙ্গু জ্বরের উপসর্গ স্পষ্টভাবে দেখা দেয়। এ রোগের কিছু সাধারণ উপসর্গ হলো জ্বরের তাপমাত্রা সাধারণ ভাইরাস জ্বরের তুলনায় অনেক বেশি, ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত উঠতে পারে। লক্ষণগুলো হলো, বিরামহীন মাথাব্যথা, হাড় ও হাড়ের জোড়–পেশিতে তীব্র ব্যথা, বমি ভাব, বমি হওয়া, গ্রন্থি ফুলে যাওয়া, সারা শরীরের ফুসকুড়ি, চোখের পেছনে ব্যথা ইত্যাদি
এসএ/এমএস