যুদ্ধ শুরু হলে কোনো দেশই রেহাই পাবে না : ইরান
‘উপসাগরীয় অঞ্চলে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়লে কোনো দেশই নিরাপদ থাকবে না। আর ইরানের কোনো যুদ্ধের প্রয়োজন নেই।’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের সাম্প্রতিক তীব্র উত্তেজনার মাঝে মঙ্গলবার এসব কথা বলেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাবেদ জারিফ।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির হার্ড টক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন ইরানের এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানে অনুষ্ঠানের উপস্থাপক জাবেদ জারিফ ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেয়া হলে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ওপর তেহরান হামলা চালাবে বলে যে বিবৃতি দিয়েছিলেন, সেব্যাপারে জানতে চান।
জাবেদ জারিফ বলেন, ইরান অন্ধ হয়ে কোনো ব্যবস্থা নেবে না। তেহরানের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক যুদ্ধে উপসাগরীয় দেশগুলো অংশ নিয়েছে। সামরিক সংঘাত ছড়িয়ে পড়ুক; ইরান সেটা চায় না।
আরও পড়ুন : প্রকাশ্যে চুমু দেয়া দুতার্তে আনলেন নতুন আইন, শিস দিলেই কারাদণ্ড
উপস্থাপক জয়নব বাদায়িকে তিনি বলেন, যদি যুদ্ধ হয়, তাহলে আমি মনে করি আমাদের এই অঞ্চলের কোনো দেশই নিরাপদ থাকবে না। চলুন আমরা এই যুদ্ধ এড়ানোর চেষ্টা করি। আমাদের যুদ্ধের দরকার নেই।
ওয়াশিংটন-তেহরানের পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে দুই দেশের চলমান উত্তেজনার মাঝে গত ইরানের এই পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে কালো তালিকাভূক্ত করার হুমকি দেয় যুক্তরাষ্ট্র। যদিও চলতি সপ্তাহে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের একটি সম্মেলনে অংশ নিতে মার্কিন ভিসা পেয়েছেন জারিফ। তবে দেশটিতে পৌঁছানোর পর তার চলাচলের ওপর বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : ইসরায়েলি বর্বরতা : ফিলিস্তিনি শিশুকে গাড়ির চাকায় পিষে হত্যা
সেখানে পৌঁছানোর পর নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দফতর, জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানি মিশন, জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূতের বাসভবন ও নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে যাওয়ার অনুমতি পেয়েছেন জাবেদ জারিফ। ইরানি এই মন্ত্রীর চলাচলে কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।
এদিকে, সোমবার সন্ধ্যায় যুক্তরাজ্যের হবু প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, নেতৃস্থানীয় বির্তকের সময় যুক্তরাষ্ট্র যদি ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক ব্যবস্থা নেয়, তাহলে তিনি আর ওয়াশিংটন সফর করবেন না।
সূত্র : দ্য ন্যাশনাল।
এসআইএস/এমএস