অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে ৭ রিকশাচালক
সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল হানিফ হোটেলের সামনে শনিবার দুপুরে অজ্ঞান অবস্থায় সাত জন রিকশাচালককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঈদে বাড়ি ফেরার সময় তারা অজ্ঞান পার্টির কবলে পড়েন।
তারা হলেন, বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার হোরগাছ মেরকান্দি গ্রামের নাজির উদ্দিনের ছেলে সোহেল রানা (২৫), একই উপজেলার দুরগাছ গ্রামের শাহজাহানের ছেলে শাকিল আহমদ (১৫), শাহাজাহান, বগুড়ার বানিয়াগাঁতী গ্রামের রফিক শেখের ছেলে শাহজাহান (৩০), সারোয়ার হোসেনের ছেলে আশদুল হোসেন (২৫), মৃত মনজুল আলীর ছেলে রমজান আলী (৫০), শাহজাহানপুর উপজেলার কোয়ালগাছ গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (২০) ও নন্দীগ্রাম গ্রামের লোপ প্রমানিকের ছেলে গোলাম মোস্তফা (৪০)। পরে তাদের সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে দুই জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
অজ্ঞান পার্টির খপ্পড়ে পড়া সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শাহজাহান আলী জাগো নিউজকে জানান, শুক্রবার রাতে পরিবার পরিজনের সঙ্গে ঈদ করতে ঢাকার গাবতলী থেকে বগুড়ার উদ্দেশ্যে ট্রাকে রওনা হন এই সাত রিকশাচালক। পথিমধ্যে ট্রাকে আরো চার যুবক তাদের সঙ্গেই ট্রাকে যাত্রী হিসেবে ওঠেন। তাদের প্রস্তাবে ট্রাকে সকলে মিলে তাস খেলা শুরু করেন। প্রচণ্ড গরমে অপর চার জনের মধ্যে একজন অসুস্থ হওয়ার ভান করেন। এসময় অসুস্থ ব্যক্তির জন্য স্যালাইনের পানি নিয়ে আসেন তার অন্য সাথীরা। এসময় ট্রাকের আরোহী সবাই স্যালাইন পানি খায়। এরপর থেকেই আস্তে আস্তে অচেতন হয়ে পড়ে রিকশাচালক সাত জন। সকালে যখন তাদের কিছুটা জ্ঞান ফেরে তখন তারা সিরাজগেঞ্জর হাটিকুমরুলের হানিফ হোটেলের চত্বরের মাটিতে পড়ে ছিলেন।
সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. জ্যোতি ভাস্কর সাহা জাগো নিউজকে জানান, নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে তাদের অচেতন করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুই জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সিরাজগঞ্জ সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, সংবাদ পাওয়া মাত্র সংজ্ঞাহীনদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয় নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে অন্তত ৩০ হাজার টাকা ও সাতটি মোবাইল নিয়ে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা পালিয়ে গেছেন বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন।
বাদল ভৌমিক/এমজেড/আরআইপি