ইন্দোনেশিয়ায় ভয়াবহ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:০৭ পিএম, ১৪ জুলাই ২০১৯

ইন্দোনেশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় মোলুকাসের টার্নেট শহরে শক্তিশালী ৭ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপসংস্থা ইউএসজিএসের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ইন্দোনেশিয়ার টার্নেটে রিখটার স্কেলে শক্তিশালী ৭ দশমিক ৩ মাত্রার ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। টার্নেট থেকে ১৬৮ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমের ১০ কিলোমিটার ভূগর্ভে এই ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়েছে।

তবে এই ভূমিকম্পে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতি কিংবা প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। স্থানীয় দুর্যোগ প্রশমন বিভাগের কর্মকর্তা মনসুর বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল বেশ শক্তিশালী। কম্পনের সময় অনেকেই রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। তারা আতঙ্কিত এবং এখনো বাড়ির বাইরে রাস্তায় অপেক্ষা করছেন।

আরও পড়ুন : বেবি পাউডারে ক্যান্সারের ঝুঁকি, জেনেও ব্যবস্থা নেয়নি জনসন!  

ভূমিকম্প পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রাণহানির তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা। গত সপ্তাহে এই প্রদেশে ৬ দশমিক ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানলেও খুব বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

হাজার দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত ইন্দোনেশিয়া। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের রিং অব ফায়ারে অবস্থিত এই দেশ; যেখানে টেকটনিক প্লেটের সংঘর্ষ ও বিশ্বে আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের অনেকগুলোই হয় এই প্লেটে। ফলে প্রায়ই ভূমিকম্প আঘাত হানে দেশটির নানা প্রান্তে।

গত বছর দেশটির পালু প্রদেশের সুলাওসি দ্বীপে সাড়ে ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত ও সুনামির পর দুই হাজার ২০০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে। নিখোঁজ হয় আরো কয়েকহাজার মানুষ।

২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের সুমাত্রা দ্বীপের উপকূলীয় অঞ্চলে ৯ দশমিক ৩ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর সুনামি আঘাত হানে। এতে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে প্রায় ২ লাখ ২০ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে। এরমধ্যে শুধুমাত্র ইন্দোনেশিয়ায় মারা যায় ১ লাখ ৭০ হাজার মানুষ।

সূত্র : এএফপি, রয়টার্স।

এসআইএস/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।