ফিলিস্তিনের পতাকাও উড়বে জাতিসংঘে
জাতিসংঘ সদর দফতরের সামনে অন্যান্য দেশের মতো এখন ফিলিস্তিনের পতাকাও উড়বে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ভোটাভুটিতে এ রায় দিয়েছে সদস্য রাষ্ট্রগুলো। যদিও ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র এর বিরোধিতা করে।
ফিলিস্তিনের মতো জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রগুলো সদর দফতরের সামনে পতাকা ওড়ানোর অনুমতি পাবে কি না- এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গত বৃহস্পতিবার ওই ভোট হয়।
এতে ১১৯টি রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের পক্ষে ভোট দেয়। এসব দেশের মধ্যে চীন ও রাশিয়ার পাশাপাশি ফ্রান্স, সুইডেন, ইতালি, স্পেন ও আয়ারল্যান্ডের মতো দেশও আছে। যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডাসহ আটটি দেশ ভোট দেয় বিপক্ষে। আর ভোটদানে বিরত থাকে ৪৫টি দেশ।
ফিলিস্তিনের চোখে এই ভোট তাদের সার্বভৌম রাষ্ট্রের দাবিকে আরো সুসংহত করেছে। ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী রামি হামাদাল্লাহ বলেছেন, জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য হওয়ার ক্ষেত্রে এই ভোট তাদের জন্য একটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের প্রতিনিধি রিয়াদ মনসুর বলেন, ‘এই ভোটে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবি আরো মজবুত হলো।’
ফিলিস্তিন ছাড়াও বর্তমানে ভ্যাটিকান জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র। এই ভোটের ফলে তারাও এখন সদর দফতরের সামনে পতাকা ওড়াতে পারবে।
এদিকে জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলি দূত রন প্রোসর বলেছেন, ‘স্বাধীন রাষ্ট্র হওয়ার ক্ষেত্রে ফিলিস্তিনের একমাত্র উপায় হলো ইসরায়েলের সঙ্গে সরাসরি সমঝোতায় বসা।’
আর জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের দূত সামন্ত পাওয়ার বলেন, ‘ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যকার আলোচনায় পতাকা ওড়ানো কোনো সমাধান হতে পারে না।’
জানা গেছে, আগামী ২০ দিনের মধ্যে জাতিসংঘ সদর দফতরের সামনে ফিলিস্তিনের পতাকা ওড়ানোর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হবে। ফিলিস্তিনি পর্যবেক্ষকরা বলছেন, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে যোগ দেবেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। ওই সময়ই পতাকা ওড়ানো হতে পারে।
২০১২ সালের নভেম্বরে এক ভোটাভুটিতে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের মর্যাদা পায় ফিলিস্তিন। বর্তমানে পূর্ণ সদস্য হওয়ার জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। ১৩৫টি দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে মেনে নিয়েছে। গত মাসে সর্বশেষ স্বীকৃতি দেয় ভ্যাটিকান।
এসএইচএস/এমএস