বেড়েই চলেছে মরিচের ঝাঁঝ


প্রকাশিত: ০৪:৪৪ এএম, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৫

কাঁচা মরিচের ঝাঁঝ কমছে না কিছুতেই। পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়। টানা বর্ষণের ফলে কাঁচা মরিচের আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে পাইকারি ও খুচরা বাজারে। চাষিদের লোকসানের পাশাপাশি আকাশচুম্বি দামে নাভিশ্বাস উঠেছে নিম্ন আয়ের মানুষদের।

জানা গেছে, ভরা মৌসুমে মেহেরপুর জেলা থেকে প্রতিদিন ৩২ থেকে ৩৩ ট্রাক মরিচ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবারহ করা হতো। অথচ বর্তমানে প্রতিদিন ২ থেকে তিন ট্রাক মরিচ জেলা থেকে ঢাকা, চট্রগ্রাম, বরিশালসহ দেশের বিভন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে। কারণ চলতি বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকে টানা বর্ষণের ফলে মরিচক্ষেত মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

morich

ফলে এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে জেলার পাইকারি ও খুচরা বাজারে। পাইকার বাজারে প্রতি কেজি মরিচ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা দরে। আর খুচরা বজারে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা দরে। আকাশচুম্বি দামে নাভিশ্বাস উঠেছে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষদের।

মেহেরপুরের মরিচ চাষিরা বলছেন, টানা বর্ষণের ফলে বেশির ভাগ মরিচ ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে অনেকেই খরচের টাকা উঠাতে পারছেন না। পরবর্তী আবাদ কি দিয়ে করবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তারা। আর যাদের ক্ষেতে মরিচ গাছ এখনো নষ্ট হয়নি তাদের কপাল খুলেছে। ভাল দাম পাওয়ায় খুশি তারা।

morich

মেহেরপুর তহবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবু হানিফ ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের দাবি, জেলার ৫০ ভাগের উপর মরিচ ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। প্রতি বছর এ সময়ে ৩২ থেকে ৩৩ ট্রাক মরিচ বাজার আমদানি হতো। কিন্তু বর্তমানে বাজারে আসছে ২ থেকে ৩ ট্রাক। বাজারের চাহিদা না মেটায় দাম আকাশ চুম্বী।

morich

মেহেরপুরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক এসএম মোস্তাফিজুর রহমান জাগো নিউজকে জানান, জেলায় ৩ হাজার ৬৫৫ হেক্টর জমিতে মরিচের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও চাষ হয়েছে ৪ হাজার ২০৫ হেক্টর জমিতে। টানা বর্ষণে ২৬ ভাগ মরিচ ক্ষেত নষ্ট হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। জমিতে অতিরিক্ত সার ব্যবহার না করার পাশাপাশি মাইটের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে কৃষকদের থিয়োভিট স্প্রে করার পরামর্শ দিলেন এ কৃষি কমকর্তা।

এসএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।