অস্ট্রেলিয়ায় ২১০ টন বর্জ্য ফেরত পাঠাচ্ছে ইন্দোনেশিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:০৩ পিএম, ০৯ জুলাই ২০১৯

ইন্দোনেশিয়া ২১০ টনেরও বেশি বর্জ্য অস্ট্রেলিয়ায় ফেরত পাঠাবে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার। এসব বর্জ্য অস্ট্রেলিয়া থেকে আসা। বিদেশি বর্জ্য যাতে দেশের মাটিতে পড়ে পরিবেশ নষ্ট করতে না পারে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতেই এমন ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।

পূর্ব জাভা শুল্ক সংস্থার এক মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, সুরাবায়া শহরে আটটি কন্টেইনার জব্দ করা হয়েছে। তারা জানিয়েছিল যে, সেগুলোতে শুধু ব্যবহৃত কাগজ আছে। কিন্তু সেগুলো ছিল বর্জ্যতে পরিপূর্ণ। বিশেষ করে প্লাস্টিকের বোতল এবং প্যাকেট। এ ছাড়াও ব্যবহৃত ডয়াপার, বৈদ্যুতিক বর্জ্য এবং নানা ধরনের ক্যান ছিল।

গত সোমবার শুল্ক কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানায়, পুরো ঘটনার তদন্ত করেছে ইন্দোনোশিয়ার পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। তারা ঘটনাটি তদন্তের পর সুপারিশ করেছে, যেন অস্ট্রেলিয়া থেকে আসা এসব বর্জ্য যেন তাদের দেশে পুনরায় ফেরত পাঠানো হয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আমাদের জনগণ এবং ইন্দোনেশিয়ার পরিবেশ রক্ষার জন্য এটা করতে হবে। বিশেষ করে পূর্ব জাভার মতো অঞ্চলে। যেসব বর্জ্য এসেছে সেগুলো বিপদজনক এবং বিষাক্ত।’ এসব বর্জ্য পাঠিয়েছে অস্ট্রেলিয়ান কোম্পানি ওশানিক মাল্টিট্রেডিং। তাদের এ কাজে সহযোগিতা করেছে ইন্দোনেশিয়ার কোম্পানি পিটি. এমডিআই।

২০১৮ সালে চীন ঘোষণা দেয় তারা অব্যবহৃত প্লাস্টিক বর্জ্য আর আমদানি করবে না। তারপর থেকে এসব বর্জ্য ধ্বংস করার জন্য সমস্যায় পরে পুরো বিশ্ব। বিশেষ করে উন্নত দেশগুলো কোথায় তাদের বর্জ্য ফেলবে তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে। যার ফল যত্রতত্র নানাভাবে তাদের এই বর্জ্য পাঠানো।

বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ায় বর্জ্য ফেলে দেয়ার জন্য উপযুক্ত স্থান হিসেবে বিবেচনা করে পশ্চিমা বিশ্ব। কিন্তু এশিয়ার দেশগুলো তা ধ্বংস বা পুনরায় ব্যবহার করা নিয়ে সমস্যায় পড়ে। গত সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়া ঘোষণা দেয় বর্জ্যভর্তি ৪৯টি কন্টেইনার তারা ফ্রান্স এবং অন্যান্য উন্নত দেশে ফেরত পাঠাবে।

এসএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।