জোড়া ধর্ষণের পর গণপিটুনিতে ধর্ষক নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:০৫ এএম, ০৬ জুলাই ২০১৯
প্রতীকী ছবি

কবিরাজ পরিচয় দিয়ে চিকিৎসার কথা বলে দুই নারীকে ধর্ষণ করেছিলেন এক ব্যক্তি। কিন্তু সেই খবর জানার পর সেই ধর্ষককে পিটিয়ে হত্যা করেছে ধর্ষণের শিকার ওই দুই নারীর গ্রামের লোকজন। আর যারা গণপিটুনিতে অংশ নিয়েছিল তাদের বেশিরভাগই নারী।

ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের আসাম প্রদেশের কার্বি আলং জেলার সিতোই আদম নামের গ্রামে। গ্রামবাসীরা বলছেন, পুলিশের অপেক্ষায় না থেকে তারা নিজ হাতেই সাজা দিয়েছেন ধর্ষককে।

স্থানীয় পুলিশ বলছে, গণপিটুনিতে নিহত ওই কবিরাজের নাম হোসেন আলী। তার বাড়ি পাশের হোজাই জেলার রাইকাটা নামক স্থানে। গত ১ জুলাই সিতোই আদম গ্রামে গিয়েছিল ওই ‘ভণ্ড’ কবিরাজ। সেখানে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী এক নারীকে দেখার পর সে জানায় ৩ জুলাই আবার আসবে।

নির্ধারিত দিনে ফের ওই নারীর বাড়িতে আসে সে। কিন্তু চিকিৎসার অজুহাতে ওই নারীর নাকে কোনো কিছু শুকিয়ে অর্ধচেতন করার পর ধর্ষণ করে। কিন্তু সেখানেই ক্ষান্ত দেয়নি সে। পরে বৃহস্পতিবার আবার আসে। এদিনও একই কায়দায় গত দিনের ভুক্তভোগী নারীর এক ১৬ বছর বয়সী আত্মীয়কে ধর্ষণ করে।

বৃহস্পতিবারের ঘটনা মুহূর্তেই গ্রামে জানাজানি হয়ে যায়। গ্রামের লোকজন কবিরাজ পরিচয়ের ওই ধর্ষককে আটক করে। তারপর গ্রামের লোকজন মিলে বিশেষ করে নারীরা ওই কবিরাজকে পিটুনি দিলে সে মারা যায়। পুলিশ এখন ঘটনাটির তদন্ত করছে।

এসএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।