মন্ত্রী-এমপিদের ভাতা বাড়ালেন মমতা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:১২ পিএম, ০৫ জুলাই ২০১৯

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের প্রাদেশিক বিধায়ক ও মন্ত্রীদের ভাতা বাড়িয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। আজ শুক্রবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী ভাতা বৃদ্ধির এই ঘোষণা দেন। তবে কংগ্রেস ও বামপন্থী দলগুলো মমতা এই ঘোষণাকে সর্বাংশে স্বাগত জানায়নি।

কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকার অনলাইনে জানানো হয়েছে, এখন মন্ত্রীদের দৈনিক ভাতা ২ হাজার রুপি থেকে বাড়িয়ে ৩ হাজার করা হয়েছে। আর বিধায়কদের দৈনিক ভাতা দ্বিগুণ অর্থাৎ ১ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ২ হাজার রুপি।

তবে দৈনিক ভাতা দেয়ার প্রশ্নে মন্ত্রী এবং বিধায়কদের মধ্যে ফারাক থাকার বিরোধিতা করেছেন কংগ্রেসের মনোজ চক্রবর্তী। আর সিপিএমের সুজন চক্রবর্তীর দাবি, প্রাক্তন বিধায়কদের অনেকেই অর্থকষ্টের মধ্যে রয়েছেন, তাদের বিষয়টি আগে ভাবা জরুরি ছিল।

এত দিন পর্যন্ত যে কাঠামো চালু ছিল, তাতে পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেক মন্ত্রী (মুখ্যমন্ত্রী, পূর্ণমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী) দিনে ২ হাজার করে মাসে ৬০ হাজার রুপি পেতেন । এ বার দৈনিক ভাতার পরিমাণ বাড়িয়ে ৩ হাজার টাকা করা হলো।

যে বিধায়করা মন্ত্রী নন, তাদের দৈনিক ভাতার পরিমাণ এত দিন ছিল ১ হাজার টাকা। এখন থেকে তারা ৬০ হাজার টাকা করে মাসিক ভাতা পাবেন। আর দৈনিক ভাতা বাবদ মাসে প্রত্যের মন্ত্রীই ৯০ হাজার টাকা করে পাবেন। তবে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও ভাতা নেন না।

বিধায়কদের ক্ষেত্রে অবশ্য এই দৈনিক ভাতা পাওয়ার প্রশ্নে একটি শর্ত রাখা হয়েছে। তা হলো, বিধানসভার বিভিন্ন স্থায়ী কমিটির বৈঠকে তাদের উপস্থিতি। প্রত্যেক মাসে দুবার সেসব কমিটির বৈঠক হয়। এখন থেকে কোনো বিধায়ক ওই বৈঠকগুলোতে উপস্থিত না হলে দৈনিক ভাতা কেটে নেয়া হবে।

মুখ্যমন্ত্রীর এমন ঘোষণার পরে বিধানসভার বামপন্থীদের নেতা সুজন চক্রবর্তী প্রাক্তন বিধায়কদের জন্য কিছু করার বিষয়ে জোরারোপ করেন। তিনি বলেন, প্রাক্তন বিধায়কদের অনেকেরই অবস্থা অস্বচ্ছল। তাদের অনেকেই অর্থকষ্টে রয়েছেন। তাদের বিষয়টি সরকারের আগে ভাবা উচিত।

এ ছাড়া রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী এবং কংগ্রেসদলীয় বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছেন, বেতন বা ভাতা দেয়ার ক্ষেত্রে বিধায়ক ও মন্ত্রীদের মধ্যে সমতা আনা হোক। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী যে ভাতা বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছেন তাতে অসাম্য বহাল রাখা হল বলে আক্ষেপ করেছেন তিনি।

এসএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।