অতিরিক্ত মদ্যপান ও যৌনকর্মেই আমিরাতি প্রিন্সের মৃত্যু!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৫১ পিএম, ০৪ জুলাই ২০১৯

লন্ডনে বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রভাবশালী আমির শেখ সুলতান বিন মুহাম্মদ আল কাশিমির ছেলের মৃত্যু অতিরিক্ত মদ্যপান ও যৌন উন্মত্ততার কারণে হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে বলছে, আমিরাতি প্রিন্স শেখ খালিদ বিন সুলতান আল কাশিমি তার অ্যাপার্টমেন্টে একটি সেক্স অ্যান্ড ড্রাগ পার্টির আয়োজন করেছিলেন। সেখানে অতিরিক্ত মদ্যপান ও যৌনকর্মে লিপ্ত হওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে সেখানেই মারা যান তিনি।

আমিরাতি এই প্রিন্স পেশায় ফ্যাশন ডিজাইনার। পশ্চিম লন্ডনের নাইটসব্রিজে ৮ মিলিয়ন ইউরো মূল্যের একটি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে তার। শেখ খালিদ বিন সুলতানের অফিসের কর্মচারীদের বরাত দিয়ে ডেইলি মেইল বলছে, সেখানে প্রায়ই কয়েক দিনব্যাপি সেক্স পার্টির আয়োজন করতেন এই আমিরাতি যুবরাজ। পার্টিতে শক্তিশালী মাদক ‘মেথামফেটামাইন’ নিয়মিত সেবন করতেন তিনি।

এর আগে সোমবার লন্ডনের স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই অ্যাপার্টমেন্টে অবচেতন অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়।

jagonews24

কাশিমি হোম্ম ব্র্যান্ড নামে নিজস্ব ফ্যাশন ডিজাইন প্রতিষ্ঠান ছিল শেখ খালিদ বিন সুলতান আল কাশিমির। এই ব্র্যান্ডের কর্মচারীরা বলছেন, খালিদ প্রতিনিয়ত উঁচু শ্রেণির পতিতাদের অ্যাপার্টমেন্টে নিয়ে এসে পার্টি করতেন এবং সেখানে মাদক ‘মেথামফেটামাইন’ নেয়াটা ছিল তার জন্য নিত্যদিনের স্বাভাবিক ঘটনা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মচারী ডেইলি মেইলকে বলেন, প্রিন্স খালিদ ‘মেথামফেটামাইন’ নিতেন, কারণ এটা নেয়ার পর দীর্ঘ সময় ধরে যৌন কর্ম করা যায়। এটা হচ্ছে অফিসের সবচেয়ে নিকৃষ্ট গোপনীয় বিষয়, মাদকের প্রতি তার আসলেই দুর্বলতা ছিল।

‘আমরা সব সময় জানতাম যে, তিনি এটা নিচ্ছেন। কারণ তিনি প্রত্যেক দিন অফিসে আসতেন খারাপ মেজাজে। তিনি খুবই খারাপ আচরণ করতেন। অন্য সময় তিনি খুবই ভালো। কঠিন প্রকৃতির হলেও সৎ ছিলেন। কিন্তু তিনি যখন বেশ কয়েকদিন ধরে ওই পার্টি করতেন, তখন পুরো দানবের মতো হয়ে যেতেন।’

prince

লন্ডনের ওয়েস্টমিনিস্টার করোনার অফিস বলছে, আমিরাতি এই প্রিন্সের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। সেখানে তার শরীরে মাদক কিংবা অন্য কিছুর উপস্থিতি আছে কি-না তা প্রতিবেদনে জানা যাবে। তবে এই প্রতিবেদন প্রকাশ হতে আরো কমপক্ষে দুই মাস সময় লাগতে পটারে।

প্রিন্স খালিদ আল কাশিমির মরদেহ দেশে আনার পর বুধবার দাফন করা হয়েছে। আমিরাতি এই প্রিন্সের মৃত্যুতে দেশটিতে তিনদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ও পতাকা অর্ধনমিত রাখার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

কাশিমি হোম্ম ব্র্যান্ডের একজন কর্মচারী দাবি করেছেন, সাপ্তাহিক পার্টি শেষে অফিসে এসে প্রিন্স খালিদ চেয়ার এবং অন্যান্য আসবাবপত্র ছুড়ে মারতেন। কিন্তু চাকরি হারানোর ভয়ে তারা সব সময় মুখ বন্ধ করেছিলেন।

prince

তিনি বলেন, যুবরাজের সেক্স অ্যান্ড ড্রাগ পার্টিতে আসতেন মূলত তার বন্ধু-বান্ধব ও ব্যবসায়িক সহযোগীরা। আমরা কখনই আমন্ত্রণ পেতাম না। সেখানে কী ঘটে আমরা শুধু সেটাই শুনতাম।

এসআইএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।