ভারতের বিড়লা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা বি কে বিড়লা মারা গেছেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:১০ এএম, ০৪ জুলাই ২০১৯

ভারতের শীর্ষস্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান আদিত্য বিড়লা গ্রুপের কর্ণধার ও প্রতিষ্ঠাতা বি কে বিড়লা মারা গেছেন। বুধবার মুম্বাইয়ে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন ৯৮ বছর বয়সী ভারতীয় এই শিল্পপতি।

পরিবার বলছে, ভারতীয় শিল্পের অন্যতম বাহক বি কে বিরলা বহুদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছিলেন। স্বাস্থ্যের ক্রমাগত অবনতি হওয়ায় তার নাতি কুমারমঙ্গলম বিড়লা তাকে মুম্বাই নিয়ে যান।

মুম্বাইভিত্তিক এই ব্যবসায়ী দেশটির সেঞ্চুরি টেক্সটাইল অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ছিলেন এবং মাত্র ১৫ বছর বয়সেই ব্যবসায় যোগ দেন তিনি। কেশোরাম ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ব্যবসায় সহায়কও হয়ে ওঠেন তিনি।

বি কে বিড়লা উত্তরসূরী হিসেবে রেখে গেছেন তার দুই মেয়ে মঞ্জুশ্রী খৈতান ও জয়শ্রী মোহতাকে; যারা বর্তমানে কেশোরাম ইন্ডাস্ট্রিজ, জয়শ্রী টি অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। বি কে বিড়লার স্ত্রী সরলা বিড়লা ২০১৫ সালে মারা গেছেন। তার একমাত্র ছেলে আদিত্য বিক্রম বিড়লাও ১৯৯৫ সালে মারা যান।

বৃহস্পতিবার কলকাতার বিড়লা পার্কে বি কে বিড়লার বাসভবনে নিয়ে আসা হবে তার মৃতদেহ। সেখানেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে তার। বিড়লা গ্রুপের এই কর্ণধারের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে কলকাতায় বিড়লা বিল্ডিংয়ের সব ধরনের কাজকর্ম বৃহস্পতিবার বন্ধ রাখা হবে।

সমাজসেবী বাবা ঘণশ্যাম দাস বিড়লার ছোট ছেলে বি কে বিড়লা ১৯২১ সালে জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র ১৫ বছর বয়সে বড় বড় বেশ কিছু কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হয়ে যান তিনি ও ধীরে ধীরে কেশোরাম ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি হন।

বি কে বিড়লা গ্রুপের প্রসার বাড়তে থাকে তার সুদক্ষ পরিচালনায়। কেশোরাম ইন্ডাস্ট্রি ছাড়াও গঠিত হয় সেঞ্চুরি টেক্সটাইল,সেঞ্চুরি এনকা এবং জয়শ্রী টি অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজও। কৃষ্ণার্পণ চ্যারিটি ট্রাস্টেরও সভাপতি ছিলেন বিড়লা, যারা বি কে বিড়লা ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং এ্যান্ড টেকনোলজি নামে একটি কলেজ তৈরি করেন রাজস্থানের পিলানে। এছাড়া ভারতে অন্তত ২৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকও ছিলেন প্রয়াত বি কে বিড়লা।

এসআইএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।