এই সময়ের গয়না


প্রকাশিত: ১০:১১ এএম, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৫

নিত্য নতুন ডিজাইন এবং মেটারিয়ালের গয়নায় নিজেকে সাজাতে ভালোবাসেন ফ্যাশনপ্রেমী নারীরা। তারই ধারাবাহিকতায় গয়নার নকশায় এসেছে নতুনত্ব। ম্যাট কালার, অক্সি কালার, কপার কালারের চলটা একটু বেশি। স্টোন সেটিংয়ের গয়নাতেও এসেছে নতুন আর বাহারি ডিজাইন। রুপার ওপর মিনা করা, মুক্তা সেটিং, ক্রিস্টাল আর জাংক জুয়েলারি এসব বেশ চলছে। আজকাল মাটি, কাঠ, কড়ি, ঝিনুক, ড্রাই ফ্লাওয়ার, লেস, লতা, প্লাস্টিক, কাপড়, পিতল, ফলের বীজ, তালপাতা এমন কি কচুরিপানা থেকেও তৈরি হচ্ছে গয়না। মানুষ এখন বৈচিত্র্য চায়। আর তাই বোধহয় এত রকমের গয়না।

রুপা সবসময় ব্যবহার করলে কালো হয়ে যায়, অক্সিডাইজ দীর্ঘসময় পরলে রং নষ্ট হয়ে যায় বলে কাঠ, মাটি, পুঁতি, পিতল, প্লাস্টিক, কিংবা কাচ দিয়ে তৈরি গয়নাকেই রোজকার আয়োজনে রাখতে চান কর্মজীবী ও শিক্ষার্থী নারীরা। লাল, কমলা, সবুজ রঙের ভারী পাথর, পুঁতি, কাঠ, সুতা দিয়ে ডিজাইন করা গয়নাগুলো সব বয়সের মেয়েরাই পরতে পারেন।

কোনোটাতে আবার কাঠের সঙ্গে পাটের আঁশ, কড়ি অথবা রুদ্রাক্ষ ব্যবহার করা হয়েছে। সুতা দিয়ে চমৎকার বুননে তৈরি গয়নাও আছে। তাতে ব্যবহার করা হয়েছে পুঁতি, ধাতু বা কাঠ। টাইডাই করা নানা রঙের কাপড় পেঁচানো চুড়ি অথবা এক পাশে কাপড় ও এক পাশে সুতা লাগানো চুড়িগুলো বেশ চলছে। জমকালো পোশাকের সঙ্গে পরার জন্য পাবেন ধাতুর তৈরি বড় কানের দুল। পুঁতি, বিডসের গয়নায়ও আছে বৈচিত্র্য। কয়েক লহরির মালা আগেও ছিল, এবার যোগ হয়েছে শঙ্খ, বরফি কিংবা গোল নকশার কাজ। কিছু কিছু লহরি মালায় আবার কাপড় বা ক্রিস্টালের ফুল লাগানো।

কানপাশা, ঝুমকা, দুল, মাকড়ি, লম্বা মালা, চুড়ি, ব্রেসলেট, বালা, পায়েল, নূপুর, হাত ও পায়ের আংটি, বাজু, চুলের কাঁটাসহ আরও নানা ধরনের পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া কিছু ফ্যাশন হাউসে রয়েছে ইয়োকের মতোন গয়না, যা চাইলে কাপড়ে লাগিয়ে নেয়া যাবে অথবা গয়না হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে। আছে মাটির তৈরি লকেটের সঙ্গে কাপড়ের লম্বা ঝুলের গয়না, যা বেশ চমৎকার ও আধুনিক লাগে। ডায়মন্ডের ব্যবহারও বেশ বেড়েছে। সোনার দামের আধিক্য এর বড় কারণ। মেয়েরা ডায়মন্ডের ছোট্ট নাকফুল, আংটি, লকেট, কানের দুল ইত্যাদি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহার করছেন।

হালফ্যাশনের পোশাক টপস, ফতুয়া, জিনস, ক্যাপ্রি, টিউনিক, শার্ট কিংবা স্কার্টের সঙ্গে মানিয়ে বিভিন্ন আকার, মোটিফ আর বিভিন্ন উপাদানের তৈরি গয়না পরা যেতে পারে। আজকাল অ্যান্টিক ও ধাতব গয়নার চাহিদা বেশি। স্কার্ট-টপসের সঙ্গে লম্বা ঝুলানো কানের দুল, অনেক ক্ষেত্রে তা ঘাড় অবধি পড়ে। কানে বড় দুল পরলে অবশ্য গলায় কিছু না পরলেও চলে। আবার গলায় কম ঝুলের মালা পরলে মালাটা ভারী আর মোটা হলেই ভালো। আর বড় মালার ক্ষেত্রে মালাটা ছেড়ে কিংবা পেঁচিয়ে কয়েক লহরে পরা যেতে পারে। গলায় ভারী কোনো গয়না পরলে কানে ছোট দুল পরুন।

হাতে পিতলের, মাটির, রুপার, হাড়ের ব্রেসলেট অথবা বালা বেশি মানানসই। ক্যাপ্রি, ফতুয়ার সঙ্গে গলায় লম্বা মালা, পায়ে মেটাল বিডসের পায়েল, খাড়ু পরলে ভালো লাগবে। এক পায়ে বিভিন্ন রকমের পায়েল ও আঙ্গুলে বড় আকৃতির আংটি পরা যেতে পারে। হাতেও চুড়ি, বালা একসঙ্গে অনেকগুলো পরলে নজর কাড়বে। বিভিন্ন আকৃতির এই গয়না পরার ক্ষেত্রে একটি বিষয় খেয়াল রাখা উচিত, গয়নাটি যেন পোশাকের সঙ্গে মানানসই হয়। হাত-পা, কান-গলায় একসঙ্গে গয়না পরলে সৌন্দর্য ম্লান হয়ে যায়। যদি কানে বড় দুল পরেন, তাহলে শুধু পায়ে গয়না পরবেন। হাতে বেশি পরলে গলায় ছোট আকৃতির লকেট পরতে পারেন।

এইচএন/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।