হংকংয়ের পার্লামেন্টে বিক্ষোভকারীরা
হংকংয়ের পার্লামেন্টে ঢুকে পড়া বিক্ষোভকারীদের প্রতিহত করতে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। একটি বিতর্কিত আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে কয়েকশ তরুণের একটি দল পার্লামেন্ট ভবনের ভেতরে ঢুকে পড়ে।
বিক্ষোভকারীরা ওই ভবনের কাচ ভেঙে অধিবেশন কক্ষে ঢুকে পড়ে এবং স্প্রে-পেইন্ট দিয়ে কক্ষের দেয়ালে নানা রকম বার্তা লিখে দেয়।
কেন্দ্রীয় অধিবেশন কক্ষের ভেতরের দেয়ালে হংকং-এর প্রতীকের ওপর একজন বিক্ষোভকারী কালো রং ছিটিয়ে দেয়। আরেকজন পুরোনো ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক যুগের ইউনিয়ন জ্যাক-আঁকা পতাকা তুলে ধরে।
পুলিশ বলেছে, বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এরই অংশ হিসেবে বিক্ষোভকারীদের উচ্ছেদ করতে টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করা হয়।
বিক্ষোভকারীরা কয়েক ঘন্টা ধরে পার্লামেন্ট ভবন ঘেরাও করে রেখেছিল। লাখ লাখ বিক্ষোভকারী পার্লামেন্ট ভবনের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করার সময় দাঙ্গা পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়।
পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। হংকং এক সময় ছিল চীনের কাছ থেকে লিজ নেয়া ব্রিটিশ উপনিবেশ- যা ১৯৯৭ সালে আবার চীনের হাতে ফিরিয়ে দেয় ব্রিটেন।
তখন একটা চুক্তি হয়েছিল যে 'এক দেশ দুই পদ্ধতি' ভিত্তিতে হংকং শাসিত হবে এবং এক ধরণের স্বায়ত্বশাসনের গ্যারান্টি থাকবে। সেই হস্তান্তরের বার্ষিকীতে হাজার হাজার মানুষ গণতন্ত্রের দাবিতে শান্তিপূর্ণ মিছিলে অংশ নেয়।
বিক্ষোভকারীরা এমন একটি আইনের প্রতিবাদ করছিল যাতে হংকং-এর কোন ব্যক্তিকে বিচারের জন্য চীনের মূল ভূখণ্ডে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়া হয়। প্রতিবাদের মুখে হংকং-এর সরকার অনির্দিষ্টকালের জন্য বিলটি স্থগিত করেছে।
কিন্তু বিক্ষোভ তারপরও চলতে থাকে এবং প্রধান নির্বাহী ক্যারি ল্যামের পদত্যাগের দাবি ওঠে। পুলিশ কয়েকবার বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগ এবং গ্রেফতার করার কথা বলে সতর্ক করেছে। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা তা উপেক্ষা করে এগিয়ে যেতে থাকলেও পুলিশ কোন পদক্ষেপ নেয়নি।
টিটিএন/এমএস