নুসরাতের পাশে তসলিমা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:১৭ এএম, ০১ জুলাই ২০১৯

মুসলিম হয়েও বিয়ে করেছেন একজন অমুসলিমকে। সিঁদুর পরে সংসদে দাঁড়িয়ে শপথবাক্য পাঠ করেছেন, বক্তব্য রেখেছেন। তার গলায় শোনা গেছে জয় হিন্দ, বন্দে মাতেরাম। আর এতেই বেজায় চটেছেন আলেমরা। নুসরাতের বিরুদ্ধে জারি করা হয়েছে ফতোয়া।

এ বিষয়ে গেরুয়া শিবিরের একাধিক নারী সাংসদ তৃণমূলের নবনির্বাচিত সাংসদ নুসরাত জাহানের পাশে দাঁড়িয়েছেন। প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, নুসরাত নিজেও। এবার নুসরাতের বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করার তীব্র প্রতিবাদ জানালেন ভারতে নির্বাসিত বাংলাদেশি লেখিকা তসলিমা নাসরিন। নুসরাতের বিরুদ্ধে মন্তব্য করা আলেম-উলামাদের সমালোচনা করে সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট করেছেন তসলিমা।

তসলিমা বলেন, নুসরত জাহান, একজন মুসলিম, তিনি বিয়ে করেছেন অমুসলিম নিখিল জৈনকে। হিন্দু প্রথা মেনে সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন। দু’জনের কেউই তো ধর্মান্তরিত হননি! কিন্তু দেওবন্দের মৌলবীরা এতে বেজায় চটলেন। তারা চান অমুসলিমরা বিয়ের আগে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়ে যাক। চুলোয় যাক। দু’জন ভিনধর্মে বিশ্বাসী মানুষ বিয়ে করলেন। বেশ করেছেন।

নিখিল জৈনকে বিয়ে করার পর নুসরাতের নতুন নাম নুসরাত জাহান রুহি জৈন। হিন্দু নারীর মতোই তার সিঁথি রাঙিয়েছেন সিঁদুরে। হাতে চূড়া, মেহেদি, গলায় মঙ্গলসূত্র, এভাবেই নববধূর বেশে গত ২৫ জুন সংসদে উপস্থিত হয়েছিলেন বসিরহাট কেন্দ্রের নবনির্বাচিত তৃণমূল সাংসদ নুসরাত।

নববধূর বেশে সংসদে হাজির হওয়ায় নুসরাতকে নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। শনিবারই এই ঘটনার প্রতিবাদ করে তীব্র ধিক্কার জানিয়েছিলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, দেবশ্রী চৌধুরি এবং হিন্দুত্ববাদী নেত্রী সাধ্বী প্রাচীর মতো একাধিক ব্যক্তিত্বরা। কিন্তু এই তৃণমূল সাংসদের পাশে দাঁড়ালেন লেখিকা তথা সমালোচক তসলিমা নাসরিন।

অন্যদিকে, সতীর্থ নুসরাতকে সমর্থন জানিয়েছেন যাদবপুরের সাংসদ মিমি চক্রবর্তীও। প্রথমে সামাজিক মাধ্যমে নুসরাতের পোস্ট শেয়ার করে প্রতিবাদ জানান। তারপর এক বক্তব্য রাখতে গিয়েও নুসরাতের প্রসঙ্গ এনে রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়েন মিমি।

তিনি বলেন, প্রথমদিন থেকেই তো আমরা খবরের শিরোনামে। তা সংসদে জিন্স পরা নিয়ে হোক কিংবা অন্য পোশাক। এখন নতুন আপত্তি উঠেছে সিঁদুর পরা নিয়ে। তার ব্যক্তিগত জীবনে সে সিঁদুর পরবে কি পরবে না, এটা তো তার একান্ত নিজস্ব ব্যাপার। যারা সমালোচনা করছেন তাদের একটা কথাই বলব, নিজের মা-বোনদের যে রকম সম্মান দেন, সেইটুকু সম্মান অন্য নারীদেরও দিন দয়া করে। হাজার হোক, আমরা তো দেশের প্রতিনিধিত্বই করছি। কাজেই সেই সম্মানটুকু তো আমাদেরও প্রাপ্য।

টিটিএন/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।