ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পাওয়া ছেলেটিকে লোকে বলত চাষবাস করো

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৫৪ এএম, ০১ জুলাই ২০১৯

ভারতের রাজস্থানের ছোট্ট গ্রাম দেদাবাসের চাষা পরিবারের ছেলে যোধারাম প্যাটেল। তার পড়াশোনার অর্থ জোগাড় করতেই হিমশিম খেতে হয় পরিবারের। তার দাদা-বাবা-চাচারা সবাই চাষবাস করত। কিন্তু যোধারাম প্যাটেল সব সময়ই বাঁধ ভাঙার স্বপ্ন দেখত। স্বপ্ন দেখত কোনো দিন সে ডাক্তার হবে।

সে আশায় বাধা হয়ে দাঁড়ায় দারিদ্র্য। কিন্তু কোনও সময়ের জন্য, কখনও সেই আশা নিভতে দেয়নি সে। দশম শ্রেণির পরীক্ষায় ফলাফল তেমন ভালো করতে পারেনি যোধারাম। দ্বাদশ শ্রেণিতেও টেনে-টুনে পাস করে। কিন্তু তার পাখির চোখ ছিল ডাক্তারি পরীক্ষার প্রবেশিকা (এনইইটি)। পাঁচ বছর ধরে টানা চেষ্টা চালিয়ে যায় সে। অবশেষে ২২ বছরে এসে স্বপ্ন পূরণ হলো যোধারামের।

এনইইটি পরীক্ষায় এ বছরে সুযোগ পয়েছেন তিনি। গোটা ভারতে তার র‌্যাঙ্ক ৩,৮৮৬।

স্বপ্নপূরণের বিষয়ে যোধারাম বলছিলেন, অনেকে অনেক কথাই বলেছে। কেউ বলেছে, লেখাপড়া ছেড়ে ছোটো চাকরি করে পরিবারের সাহায্য করো। কেউ আবার বলেছে, চাষবাসে বাপ-দাদাকে সাহায্য করো। আমি সেসব করেও পড়াটা চালিয়ে গিয়েছি। এক মুহূর্তের জন্যও ভেঙে পড়েনি।

২০০৪ সালে শেষবার যোধারামের গ্রাম থেকে কেউ ডাক্তার হয়েছিলেন। তার ১৫ বছর পর আবার কেউ ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পাচ্ছেন।

জেডএ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।