জিন্স-টি শার্টে শ্বশুরবাড়ির আপত্তি, নববধূর রহস্যজনক মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৫৯ পিএম, ৩০ জুন ২০১৯

একান্নবর্তী পরিবারের বৌ হয়ে জিন্স-টি-শার্ট পরা মানায়? এ নিয়েই আপত্তি ছিল শ্বশুরবাড়ির লোকজনের। তবে স্বামীর অমত ছিল না। কিন্তু বাড়ির বড়দের সামনে কোন কথাই বলতে পারতেন না। চুপ করেই থাকতেন তিনি।

বৌকে এটাও বুঝিয়েছিলেন যে, এখানে ওসব বাদ দিতে হবে। ঘুরতে গেলে যত ইচ্ছা প্যান্ট-টি শার্ট পরতে পারবে কিন্তু বাড়িতে নয়। এটা মেনেও নিয়েছিলেন ১৯ বছরের নববধূ।

বুধবার বাপের বাড়ি গিয়ে নিজের শখ মেটাতে জিন্স পরেছিলেন। এরপর রাস্তায় বেরোতেই বিপত্তি বাধে। শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে দেখে ফেলেন। বাপের বাড়ির সাথে শ্বশুর বাড়ির দূরত্ব ছিল পাঁচ মিনিটের পথ। বিকালে শ্বশুরবাড়িতে ফিরেই হেনস্তার মুখে পড়তে হয় তাকে। পরের দিন নিজের ঘর থেকেই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয় ১৯ বছরের কেয়া দাসের।

কেয়ার মায়ের দাবি তিনি মেয়েকে শ্বশুরবাড়িতে দিতে গিয়েছিলেন। তার সামনেই মেয়েকে গালমন্দ শুরু করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। মেয়ের হয়ে ক্ষমা চেয়ে ফিরে আসেন তিনি।

তার বাবার বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, মেয়েকে খুন করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। শ্বশুর মাধব দাস ও তার বড় জা শ্যামলী দাসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে ছেলের বাড়ির দাবি, কেয়া আত্মহত্যা করেছেন।

মাত্র ১১ মাস আগে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নৈহাটির মালঞ্চ রোড শান্তিনগরের বান্টি দাসের সঙ্গে বিয়ে হয় কেয়ার। কেয়া-বান্টির পাশাপাশি এলাকায় বাড়ি। ছোটবেলা থেকে প্রেম তাদের। বরাবরই জিন্স-টি শার্ট পছন্দ ছিল কেয়ার। কিন্তু বিয়ের পর বুঝতে পারেন, সেই শখ মেটানো আর সম্ভব নয়।

রক্ষণশীল শ্বশুরবাড়ির প্রবল আপত্তি ছিল। বান্টি অবশ্য বরাবরই স্ত্রীর পাশে ছিলেন। কিন্তু বলেছিলেন, বাড়ির নিয়ম বদলাতে পারব না। আমার সঙ্গে যখন ঘুরতে যাবে, যা মন চায় পরতে পারো।

টিটিএন/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।