ই-সিগারেট : স্বাস্থ্যের জন্য আসলেই কি নিরাপদ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৫২ এএম, ২৮ জুন ২০১৯

ধূমপান ছাড়ার জন্য ই-সিগারেট বা ইলেকট্রনিক সিগারেট সহায়ক বলে অনেকেই পরামর্শ দেন। যুক্তরাজ্যের সরকারি স্বাস্থ্য বিভাগ ধূমপায়ীদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে যে, ধূমপান ছাড়ার জন্য ই-সিগারেট সহায়ক হতে পারে। তবে প্রশ্ন উঠেছে ই-সিগারেট স্বাস্থ্যের জন্য কতটা নিরাপদ।

জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম শহর হিসাবে ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করেছে সানফ্রানসিসকো। এ সিগারেটের ভেতরে নিকোটিন, প্রোপাইলিন গ্লাইকল অথবা ভেজিটেবল গ্লিসারিন এবং সুগন্ধী মিশ্রিত থাকে। কিন্তু সাধারণ তামাকে থাকা অনেক বিষাক্ত রাসায়নিকের তুলনায় (যেমন টার এবং কার্বন মনোক্সাইড) নিকোটিন তুলনামূলক কম ক্ষতি করে।

নিকোটিনের কারণে ক্যানসার হয় না, কিন্তু সাধারণ সিগারেটে ভেতরে থাকা তামাকের কারণে ক্যানসার হতে পারে- যার কারণে প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।

এ কারণেই ধূমপান বন্ধ করতে নিকোটিন গ্রহণের মাধ্যম পরিবর্তনের জন্য অনেক বছর ধরে পরামর্শ দিয়ে আসছে যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্য বিভাগ। যার মধ্যে রয়েছে গাম, স্কিন প্যাচেস বা মুখে স্প্রে করা।

চিকিৎসক, স্বাস্থ্য খাতের বিশেষজ্ঞ, ক্যানসার নিয়ে কাজ করা দাতব্য সংস্থা বা যুক্তরাজ্যের সরকার, সবাই একমত হয়েছে যে, বর্তমানে যেসব তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে, তাতে সাধারণ সিগারেটের তুলনায় ই-সিগারেট সামান্যই ঝুঁকি বহন করে।

একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, সিগারেট বা ধূমপানের তুলনায় এভাবে ধোঁয়া নেয়া ৯৫ শতাংশ কম ক্ষতির কারণ হতে পারে। কিন্তু এর মানে এ নয় যে, এগুলো পুরোপুরি ঝুঁকি মুক্ত।

ই-সিগারেটের ভেতরে থাকা তরল পদার্থ এবং ধোঁয়া অনেক সময় এমন সব ক্ষতিকর রাসায়নিক বহন করতে পারে, যা সাধারণ সিগারেটের ভেতরেও থাকে। তবে এর মাত্রা অনেক কম।

যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীরা এর আগে ছোট কয়েকটি পরীক্ষায় দেখেছেন, এ ধরনের ধোঁয়া গ্রহণ শরীরের ফুসফুসের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় পরিবর্তন আনতে পারে। সুতরাং এভাবে ধোঁয়া গ্রহণে স্বাস্থ্যের কোনো ক্ষতি হয় না, এটা বলা যাবে না।

তবে বিশেষজ্ঞরা একমত যে, প্রচলিত সিগারেটের তুলনায় ই-সিগারেটে ঝুঁকির মাত্রা অনেক কম।

ই- সিগারেটের ধোঁয়া অন্যদের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে, এমন কোনো প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি। প্রচলিত সিগারেটের ধোঁয়ায় আশেপাশের মানুষ যতটা ক্ষতির শিকার হয়, সে তুলনায় ই-সিগারেটের ক্ষতি তেমন একটা হিসাবের মধ্যে পড়ে না।

স্কটল্যান্ডে এক জরিপে দেখা গেছে, তরুণদের অনেকে ই-সিগারেট ব্যবহার করে পরে ধূমপানে আসক্ত হয়ে পড়েছে।

দীর্ঘ মেয়াদে এর প্রভাব কী হতে পারে, সে ব্যাপারে গবেষণার প্রয়োজনীয়তার কথাও এখন উঠছে দেশটিতে।

এএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।