ঢাবিতে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ


প্রকাশিত: ০২:৩৮ পিএম, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়াউর রহমান হল ও বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় মোহাম্মদ হারুন নামে জিয়া হলের এক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহত শিক্ষার্থী টিভি অ্যান্ড ফিল্ম স্টাডিজ বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্র। পরে আহত হারুনকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

এসময় হারুনের কাছ থেকে মোবাইল ও সাড়ে চার হাজার টাকাসহ মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।  

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হারুন নামে জিয়া হলের এক ছাত্র দুপুরে বিজয় একাত্তর ক্যান্টিনে খেতে যাওয়ার সময় হলের গেইটে ৩ ছাত্রলীগ কর্মী হারুনের পরিচয় জানতে চান। এতে হারুন জিয়া হলের ছাত্র বললে তারা আইডি কার্ড দেখাতে বলেন। তিনি আইডিকার্ড হলে রেখে আসছেন বললে তারা তাকে বিশ্বাস করেন না। এক পর্যায়ে হারুন নিজেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্সের রাজনীতি করেন বলে জানান।

বিষয়টি জানার পর তারা হলের কম্পিউটার দোকানের গেট বন্ধ করে হারুনের উপর হামলা চালায়।

পরে বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগ সভাপতি শেখ ইনান ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসাইন এসে হারুনকে মারধর করে বলেও অভিযোগ করে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।

ঘটনার জানাজানি হলে জিয়া হলে অবস্থানরত হারুনের বন্ধুরা পাল্টা আক্রমণের উদ্দেশ্যে একাত্তর হলে যায়। এসময়ে দুই হলের ছাত্রলীগের কর্মীদের মধ্যে ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর, পুলিশ, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান ও মোতাহার হোসেন প্রিন্স গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

বিজয় একাত্তর হলের ছাত্র লীগের সভাপতি শেখ ইনান বলেন, জিয়া হলের এক ছেলে এসে আমাদের হলের শিক্ষার্থীদের সাথে মারামারি করে। পরে আমি গিয়ে বিষয়টি মিমাংসা করি। তবে তিনি হারুনের উপর হামলা বিষয়টি অস্বীকার করেন।
 
সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন বলেন, জিয়া হলের ওই ছেলে বিজয় একাত্তর হল থেকে খেয়ে টাকা না দিয়ে চলে যাচ্ছিল। পরে আমাদের হলের সোহাগ তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং আইডি কার্ড চেক করে। পরে তাকে জিয়া হলের দেখে তার উপর চড়াও হয়। পরে আমি গিয়ে বিষয়টি সমাধান করেছি। তবে মারধরের বিষয়টি তিনিও অস্বীকার করেন।   
 
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স বলেন, হারুন নামের হলের এক শিক্ষার্থীর সাথে মারামারি হয়। পরে বিষয়টি মিমাংসা হয়। ওর মোবাইল ফেরত দেওয়া হয়েছে। মানিব্যাগে এত বেশি টাকা ছিলনা বলেও জানান তিনি।

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. এম আমজাদ আলী বলেন, বিজয় একাত্তর ও জিয়া হলের শিক্ষার্থীদের মাঝে খাবার নিয়ে মারামারি হয়েছে। পরে বিষয়টি মিমাংসা করা হয়েছে। হলের সি সি ক্যামেরা দেখে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

এমএইচ/এসকেডি/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।