খামেনির কার্যালয়ের ওপরও মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আনা হচ্ছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৫৬ এএম, ২৫ জুন ২০১৯

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ইরানের ওপর নতুন করে আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আনতে যাচ্ছেন। এর আওতায় দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির কার্যালয়ও রয়েছে।

ট্রাম্প বলছেন, মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করা এবং আরও কিছু কারণে অতিরিক্ত এ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হচ্ছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ এই ঘটনাকে যুক্তরাষ্ট্রের ঘৃণ্য কূটনীতি বলে উল্লেখ করেছেন। এক টুইট বার্তায় জাভেদ জারিফ বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন যুদ্ধে আগ্রহী।

ওমান উপসাগরে দু’টি তেলের ট্যাঙ্কারে বিস্ফোরণ এবং মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করার ঘটনায় সাম্প্রতিক সময়ে দেশ দু’টির মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ দু’পক্ষকে শান্ত থাকতে এবং কূটনৈতিক উপায়ে সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব বিভাগ বলছে, ইরানের শীর্ষ আট ইরানি কমান্ডার যারা দেশটির আমলাতন্ত্র ও ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করে তাদেরকেই লক্ষ্য করা হয়েছে।

তারা বলছে, ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির কার্যালয়ও। যুক্তরাষ্ট্র মনে করে খামেনির অনেক সম্পদ আছে যা রেভল্যুশনারি গার্ডকে সহায়তা করে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ধারণা এ সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৯৫ বিলিয়ন ডলার।

ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ওপরও এ সপ্তাহের শেষের দিকে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে রাজস্ব বিভাগ।
২০১৮ সালের মে মাসে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করতে শুরু করে ট্রাম্প প্রশাসন। তার আগে ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ায় যুক্তরাষ্ট্র।

এরপর দু দেশের সম্পর্ক তিক্ততার দিকে যেতে শুরু করে। পরে ইরানের ওপর আরও চাপ বাড়ায় যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি ইরানের কাছ থেকে যারা তেল ক্রয় করে তাদেরকেও নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনার পদক্ষেপ নেয়া হয়।

এর মধ্যেই ওমান উপসাগরে তেলের ট্যাঙ্কারে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সে সময়ই ইরানি কর্মকর্তারা তাদের ইউরেনিয়াম মজুদের সীমা বাড়ানোর কথা ঘোষণা করে।

এর কয়েকদিনের মাথায় গত বৃহস্পতিবার ড্রোন ভূপাতিত করার ঘটনা ঘটে। ইরান বলছে, ড্রোনটি তাদের আকাশসীমায় প্রবেশ করেছে আর যুক্তরাষ্ট্র বলছে এটি আন্তর্জাতিক জলসীমায় ছিল।

ইরানের বিপ্লবী রেভল্যুশনারি গার্ড বলছে, ড্রোন ভূপাতিত করে তারা যুক্তরাষ্ট্রকে বার্তা দিয়েছে যে ইরানের সীমান্ত তাদের কাছে রেড লাইন।

রেভল্যুশনারি গার্ডের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ড্রোনের কাছ দিয়েই উড়ে যাচ্ছিল একটি সামরিক বিমান। এতে ৩৫ জন যাত্রী ছিল। তিনি বলেন, সেটাও তারা ভূপাতিত করতে পারতেন। কিন্তু তারা তা করেননি।

টিটিএন/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।