ব্লগার অনন্ত হত্যায় গ্রেফতার দুইজনকে শ্যোন অ্যারেস্ট
মুক্তমনা ব্লগের সংগঠক ও বিজ্ঞান মনস্ক লেখক অনন্ত বিজয় দাশ হত্যা মামলায় ঢাকায় গ্রেফতার আনসারউল্লাহ বাংলাটিমের অর্থায়ন ও ব্লগার অভিজিত হত্যার পরিকল্পনাকারী জঙ্গি তৌহিদুর রহমান ও আমিনুল মল্লিককে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে চাঞ্চল্যকর এই মামলায় মোট পাঁচজনকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো ও প্রত্যেককে ১৫ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জ্ঞিাসাবাদের জন্য সিআইডি ক্রাইম অর্গানাইজড টিমের পরিদর্শক আরমান আলী সিলেটের মহানগর হাকিম আদালতে আবেদন করেন। এবিষয়ে শুনানি শেষে বিচারক তৌহিদুল ও আমিনুলকে গ্রেফতার দেখানোর নির্দেশ দেন।
তবে আরিফ ও জাকিরুলকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানোর আবেদন আদালত আমলে নেননি। অপর জন সাদেক আলিম মিঠুকে আদালতে হাজির না করায় তার বিষয়ে কোনো আদেশ দেননি আদালত। একইসঙ্গে রিমান্ড আবেদনের শুনানি না করে আগামি ১৬ সেপ্টেম্বর পাঁচজনকে হাজির করে রিমান্ড চাওয়ার জন্য আদেশ দেন।
আদালতের জিআর বিজয় রায় জানান, ১৬ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। ওই দিন আদালতে এই পাঁচ আসামির রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। তদন্ত কর্মকর্তা এই পাঁচজনকে এরই মধ্যে ১৫ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেছেন।
আদালত সূত্র জানায়, এর আগে এই দুইজনসহ মোট পাঁচজনকে অনন্ত বিজয় হত্যা মামলায় শ্যোন অ্যারেস্টের আবেদন করে সিআইডি পুলিশ। এই পাঁচজনই ঢাকায় ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় গ্রেফতার রয়েছেন।
গত ১৭ আগস্ট ঢাকা থেকে তৌহিদুর রহমান ও আমিনুল মল্লিককে গ্রেফতার করে র্যাব। ব্লগার অভিজিৎ হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ও আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের জঙ্গি সন্দেহে তাদেরকে গ্রেফতার দেখায় র্যাব। তৌহিদুর রহমান বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক ও আইটি বিশেষজ্ঞ।
তিনি আনসারুলাহর আর্থিক দিকটি দেখাশোনা করতেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহসিন হলে বসে ব্লগার অভিজিতকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয় বলে জানায় র্যাব। অভিজিত হত্যার মুল পরিকল্পনাকারীও তৌহিদুর।
প্রসঙ্গত, ১২ মে সকালে সিলেট নগরের সুবিদবাজারে নূরানী আবাসিক এলাকায় নিজ বাসার সামনে ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এই হত্যা মামলায় ফটো সাংবাদিক ইদ্রিস আলী, শাবিছাত্র মান্নান রাহি ও তার ভাই মোহাইমিন নোমান এবং আবুল খায়েরকে গ্রেফতার করে সিআইডি পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে মান্নান রাহি আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। আর তার সহোদর মোহাইমিনকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়।
ছামির মাহমুদ/বিএ