২০ হাজার টাকার বেশি লেনদেনে তথ্য রাখতে হবে


প্রকাশিত: ০১:১৯ পিএম, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোতে (এনজিও) ২০ হাজার টাকার বেশি লেনদেন হলে ওই গ্রাহকের তথ্য সংরক্ষণ করতে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক এক আদেশে একথা জানিয়েছে।

আদেশে বলা হয়, প্রতিটি এনজিও এর পরিচালনা পর্ষদ, বোর্ড অব ট্রাস্টি, সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিষয়ক নীতিমালা থাকতে হবে। প্রতিটি এনজিও এর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নেতৃত্বে প্রধান কার্যালয়ে একটি ‘কেন্দ্রীয় পরিপালন ইউনিট’ প্রতিষ্ঠা করবে যা সরাসরি প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে থাকবে।

আদেশে আরো বলা হয়, সকল এনজিও তাদের প্রত্যক্ষ সুবিধাভোগী যারা এক বছরে ২০ হাজার টাকার অধিক অংকের নগদ অর্থ/পণ্য/সেবা গ্রহণ করেছে, তাদের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ পরিচিতির তথ্য এবং সমর্থিত দলিলাদি সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করবে। ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণকারী এনজিওসমূহের যে সকল গ্রাহকের অনুকূলে মঞ্জুরীকৃত ঋণ বা ঐ প্রতিষ্ঠানে যাদের আমানত স্থিতি ১ লাখ টাকা বা তার  ঊর্ধ্বে রয়েছে সে সকল গ্রাহকের পরিচিতির সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ তথ্য এবং সমর্থিত দলিলাদি সংগ্রহ করতে হবে এবং পরিদর্শন ও অন্যান্য মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্যের সঠিকতা নিশ্চিত করতে হবে। প্রত্যেক এনজিও/এনপিও তাদের প্রত্যক্ষ সুবিধাভোগীর পরিচিতি ও লেনদেন সম্পর্কিত তথ্য (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ন্যূনতম ৫ (পাঁচ) বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করবে। যাদের নিয়ন্ত্রণে অথবা নির্দেশনায় এনজিও/এনপিও পরিচালিত হয় তাদের পরিচিতির সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ তথ্য এবং উক্ত তথ্যাদির সমর্থনে দলিলাদি সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করবে।

এতে আরো বলা হয়, প্রতিটি এনজিও এক লাখ টাকা বা এর অধিক অংকের লেনদেন সম্পাদনের ক্ষেত্রে ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহার করবে এবং এর ব্যতিক্রম হলে এনজিও এর নিজস্ব কর্তৃপক্ষের অনুমোদন গ্রহণ করবে। এনজিওসমূহ তাদের সকল আর্থিক লেনদেন ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে সম্পাদনে অগ্রাধিকার প্রদান করবে।

এসএ/এআরএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।