মুরসির মৃত্যুতে যা বললেন এরদোয়ান
মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির মৃত্যুর পর দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট আবদুল ফাত্তাহ আস-সিসি ও ইউরোপীয় দেশগুলোর সমালোচনা করেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান।
তিনি বলেন, মিসরের প্রেসিডেন্ট সিসি জনগণের ভোটে নির্বাচিত মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে জোরপূর্বক ক্ষমতা দখল, গণতন্ত্রকে পদদলিত এবং ক্ষমতায় এসে ৫০ জনকে ফাঁসি দিয়েছেন।
‘মুরসি গণতান্ত্রিক উপায়ে ৫২ শতাংশ ভোট পেয়ে মিসরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন কিন্তু দেশটির সামরিক বাহিনী এ বাস্তবতা মেনে নেয়নি এবং তারা মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার সব ক্ষেত্র সৃষ্টি করেছিল।’
তুর্কি প্রেসিডেন্ট ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমালোচনা করে বলেন, সিসি ক্ষমতায় আসার পর মিসরীয়দের ফাঁসি দিলেও ইউরোপীয় ইউনিয়ন এ বিষয়ে নীরব থেকেছে। এমনকি মিসরে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ইউরোপীয় দেশগুলো অংশ নিয়েছে যখন সেখানে ফাঁসির ঘটনা ঘটছিল।
এরদোয়ান বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন তুরস্ককে ফাঁসির আদেশ বাতিলের জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছে কিন্তু মিসরে তারা আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এমন সময় অংশ নিয়েছে যখন সে দেশের নাগরিকদেরকে ফাঁসি দেয়া হচ্ছিল। আর এ থেকে প্রমাণিত হয় ইউরোপ মানবাধিকার বিষয়ে দ্বিমুখী আচরণ করছে।
তিনি বলেন, মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি তার হাজার হাজার বিপ্লবী সমর্থককে নিয়ে গত পাঁচ বছর ধরে কারাগারে ছিলেন কিন্তু পাশ্চাত্যের কেউ তার পক্ষে কথা বলেনি।
এরদোয়ান বলেন, আমরা আল্লাহর কাছে আমাদের শহীদ ভাইদের জন্য দোয়া করছি, আল্লাহ যেন শহীদদের ওপর রহম করেন। আদালতের এজলাসেই তার মৃত্যু হয়েছে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি আল্লাহর কাছেই রহমত কামনা করি।
প্রসঙ্গত, সোমবার মিসরের একটি আদালতের এজলাসেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন দেশটিতে প্রথমবারের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুরসি। তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।
মিসরের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন মুরসির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
মিসরের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, সাবেক প্রেসিডেন্ট বিচারকের কাছে কথা বলার অনুমতি চাইলে তাকে কথা বলতে অনুমতি দেয়া হয়েছিল। এ সময় তিনি বুকে ব্যথা অনুভব করেন। এক পর্যায়ে তিনি হার্টঅ্যাটাকে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। সূত্র আল জাজিরা ও পার্স টুডে।
এএইচ/এমকেএইচ