পারমাণবিক অস্ত্র বেড়েছে ভারত-চীন-পাকিস্তানের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:২১ পিএম, ১৭ জুন ২০১৯

গত বছর গোটা বিশ্বের মোট পারমাণবিক অস্ত্রের সংখ্যা কমলেও বিভিন্ন দেশ তাদের হাতে মজুদ অস্ত্রগুলোর আধুনিকায়ন করেছে। কিন্তু এশিয়ার তিন দেশের পারমাণবিক অস্ত্রের সংখ্যা বেড়েছে। দেশ তিনটি হলো ভারত, পাকিস্তান আর চীন। সুইডেনভিত্তিক অস্ত্র বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এসআইপিআরআই) সোমবার প্রকাশিত এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০১৯ সালের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য ফ্রান্স, চীন, ভারত, পাকিস্তান ইসরায়েল এবং উত্তর কোরিয়ার কাছে মোট ১৩ হাজার ৮৬৫টি পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে।

Neuclear-Weapons-1.jpg

ভারতের পারমাণবিক অস্ত্র

২০১৮ সালে বিশ্বের মোট পারমাণবিক অস্ত্রের চেয়ে এবার ৬০০টি অস্ত্র কমেছে দেশগুলোর। কিন্দু একই সময়ে প্রত্যেকটি দেশ তাদের পারমাণবিক অস্ত্রগুলো আরও আধুনিকায়ন করার কাজ করেছে। এ ছাড়া ভারত, চীন এবং পাকিস্তান তাদের অস্ত্রভাণ্ডারে নতুন করে পারমাণবিক অস্ত্র যুক্ত হয়েছে।

এসআইপিআরআই এর পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির পরিচালক এবং তাদের প্রকাশিত প্রতিবেদনটির একজন লেখক শ্যানন কিলে বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘গোটা বিশ্বের পারমাণবিক অস্ত্র হয়তো কমেছে কিন্তু নতুন অস্ত্রও যুক্ত হয়েছে।’

Neuclear-Weapons-1.jpg

পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্র

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পারমাণবিক অস্ত্রের সংখ্যা কমার পেছনে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়া। তথাপি বিশ্বের মোট পারমাণবিক অস্ত্রের ৯০ শতাংশের বেশি নিজেদের দখলে রেখেছে এই দুই দেশ। ২০১০ সালে রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে স্বাক্ষরিত নিউ স্টার্ট চুক্তির কারণেই এটা হয়েছে।

Neuclear-Weapons-1.jpg

চীনের পারমাণবিক অস্ত্র

বিশ্বের ক্ষমতাধর দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত এই চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে ২০১২১ সালে। কিন্তু পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির পরিচালক শ্যানন কিলে বলছেন, ‘চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর ব্যাপারে এই দুই দেশের কেউই আলোচনা করছে না। যা গোটা বিশ্বের জন্য একটি শঙ্কার বিষয়।

এসএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।