ভারতে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় সশস্ত্র জঙ্গিরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:২৭ পিএম, ১৭ জুন ২০১৯

ফের সতর্কবার্তা দিয়েছে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা। বিশেষ একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারকে সতর্ক করেছে দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। ১০ থেকে ১৫ জনের সশস্ত্র জঙ্গি দল ভারতে অনুপ্রবেশের জন্য তৈরি হয়ে আছে। কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর অপেক্ষমান ওই জঙ্গিরা ভারতে প্রবেশ করতে চাইছে।

দেশের বড় শহরগুলোতে হামলার ছক কষছে এই জঙ্গিরা। জম্মু কাশ্মীরে বড় ধরনের হামলা এবং সেনা ঘাঁটিতে আক্রমণ চালানোর জন্য তৈরি হয়েছে তারা। অমরনাথ যাত্রাও এদের লক্ষ্যবস্তু হতে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কেন্দ্রের হাতে আসা রিপোর্টে বলা হয়েছে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর কিছু সন্দেহভাজন ব্যক্তির উপস্থিতি নজরে এসেছে।

লোসার ও সরদারি এলাকায় বেশ কয়েকজন বিদেশি জঙ্গির উপস্থিতিও নজরে এসেছে গোয়েন্দাদের। লোসার-১ থেকে সরদারি এলাকা দিয়ে ভারতের গোবিন্দ পোস্টের দিক থেকে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করতে পারে এই জঙ্গি দল।

গোয়েন্দাদের ধারণা আরেকটি জঙ্গিদল সক্রিয় হয়ে রয়েছে তিঞ্চের পার্বত্য এলাকায়। এরা মূলত লস্কর-ই তইবা জঙ্গি গোষ্ঠীভুক্ত। কুপওয়াড়ার রেসওয়াড়ির জঙ্গলে এরা আত্মগোপন করে আছে। এছাড়াও আরেকটি দল সক্রিয় রয়েছে হুগোম ও বিজবেহারা এলাকায়। এরা প্রত্যেকেই সশস্ত্র।

ভারতীয় গোয়েন্দারা অভিযোগ করেছে, প্রতিটি জঙ্গি দলকে নিয়ন্ত্রণ করছে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। এর আগেও জানানো হয়েছিল সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছে জঙ্গিরা। কাশ্মীর সীমান্তে অনুপ্রবেশ করার সুযোগের অপেক্ষায় ওত পেতে বসে আছে দুই জঙ্গি সংগঠনের সক্রিয় সদস্যরা।

জম্মু কাশ্মীরের সীমান্তবর্তী এলাকা রাজৌরি বরাবর নিয়ন্ত্রণরেখা দিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে জঙ্গিরা। দুটি গ্রুপে ভাগ হয়ে এই জঙ্গিরা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে। প্রতিটি গ্রুপে কমপক্ষে পাঁচজন করে সশস্ত্র জঙ্গি রয়েছে। পাক অধ্যুষিত কাশ্মীর থেকে একটি কালো রংয়ের গাড়িতে এই জঙ্গিরা এসেছে বলে জানানো হয়েছে। কোটলি সন্ত্রাস প্রশিক্ষণ শিবির থেকে এদের নিয়ে আসা হয়েছে নিকিয়াল এলাকায়।

একটি গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছে হাজি আরিফ নামের এক ব্যক্তি। সে ভারতে প্রবেশের অপারেশনের যাবতীয় তথ্য সরবরাহ করবে বলে জানা গেছে। ভারতীয় গোয়েন্দাদের রিপোর্ট অনুযায়ী, নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর আরেকটি গ্রুপের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। মোহরা শেরিদ গ্রামের সীমানা লাগোয়া ওই এলাকায় সন্দেহজনক কিছু ব্যক্তির উপস্থিতি রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

এই গ্রুপে লস্কর-ই তইবা ও জইশ-ই-মোহাম্মদের মত জঙ্গি সংগঠনের সদস্য থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রের অভিযোগ, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপের কিছু সদস্য এই জঙ্গি দলটিকে নির্দেশিকা দেবে।

টিটিএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।