ইজতেমার ছবি জিতল ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক পুরস্কার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৪৭ পিএম, ১৪ জুন ২০১৯

ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ট্রাভেল ফটোগ্রাফার অব দ্য ইয়ার প্রতিযোগিতার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। এতে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন বাংলাদেশি আলোকচিত্রী সন্দ্বীপনি চট্টোপাধ্যায়। প্রতিযোগিতায় শহর বিভাগে ‘স্ট্রিটস অব ঢাকা’ শীর্ষক একটি ছবির জন্য এ পুরস্কার জিতেছেন তিনি।

ঢাকায় তোলা তার এ ছবিতে ফুটে উঠেছে বিশ্ব ইজতেমার সময় রাজধানী থেকে একটু দূরের একটি সড়কে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের নামাজের দৃশ্য। তাদের মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে সারি সারি যানবাহন।

মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় সমাবেশ ইজতেমা। টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে প্রতি বছর এর আয়োজন করা হয়। এ সময় লাখ লাখ মুসল্লি সেখানে সমবেত হয়। তবে তুরাগ নদীর তীরে পর্যাপ্ত মুসল্লির ধারণ ক্ষমতা না থাকায় অনেকে মহাসড়কে চলে আসেন। এ সময় সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।

প্রকৃতি, শহর ও মানুষ- এই তিন বিভাগে এবারের প্রতিযোগিতা হয়েছে। কয়েক মাস ধরে বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় কয়েক হাজার ছবি পাঠায় আলোকচিত্রীরা। বিশেষজ্ঞ আলোকচিত্রী ও ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের কর্মীরা বিচারিক প্যানেলে ছিলেন। জমা পড়া ছবিগুলোর মধ্য থেকে সেরা ছবিগুলো বাছাই করেন তারা।

প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছেন চো ওয়েইমিন। তিনি শহর বিভাগে প্রথম হয়ে গ্র্যান্ড প্রাইজ জিতেছেন। তার তোলা ছবিটির শিরোনাম ‘গ্রিনল্যান্ডিক উইন্টার’। ছবিতে গ্রিনল্যান্ডের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল আপারনাভিকে তুষারে ঢাকা ছোট একটি দ্বীপের মৎস্যজীবীদের গ্রামের রঙিন আবহ ফুটে উঠেছে। পুরস্কার হিসেবে ৭ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার পেয়েছেন চো। তার এ ছবিটি ইনস্টাগ্রামে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ট্রাভেল অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা হয়েছে।

এ প্রতিযোগিতায় প্রকৃতি বিভাগে প্রথম হয়েছেন টামারা ব্লাফকেজ হাইক। তার তোলা ছবির নাম ‘টেন্ডার আইস’। স্পেনের মনফ্রাগুয়ে ন্যাশনাল পার্কের আকাশে উড়তে থাকা একটি শকুনের মায়াভরা দৃষ্টি উঠে এসেছে তার ছবিতে।

‘শোটাইম’ শীর্ষক একটি ছবি তুলে মানুষ বিভাগে সেরা হয়েছেন ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফার হুয়াইফেঙ লি। ছবিটিতে চীনের শানসি প্রদেশের লিচাঙ কাউন্টিতে অপেরা পরিবেশনের জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকা একদল শিল্পীকে তুলে এনেছেন তিনি।

এমএসএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।