ধান গবেষণায় ব্রির সাফল্য মিরাকেল : ড. রবার্ট এস জিগলার


প্রকাশিত: ১২:৩০ এএম, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫

আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ইরি) এর মহাপরিচালক ড. রবার্ট এস জিগলার গাজীপুরে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) পরিদর্শন করেছেন। সোমবার সকালে ব্রির মহাপরিচালক ড. জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস প্রতিষ্ঠানে ড. জিগলার ও তার সফরসঙ্গীদের স্বাগত জানান এবং ইনস্টিটিউটের চলমান কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন। এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি ইরি-ব্রির সহযোগিতার ক্ষেত্রসমূহ নিয়ে আলোচনা করেন।

ব্রির পরিচালক (প্রশাসন ও সাধারণ পরিচর্যা) ড. মো. শাহজাহান কবীর, ব্রির পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. আনছার আলী, প্রতিষ্ঠানটির উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা সমন্বয়কারী ড. মো. আবু ছালেক, গবেষণা বিভাগসমূহের প্রধানগণ, ঊর্ধ্বতন বিজ্ঞানাী ও কর্মকর্তারা এবং ইরির প্রকাশনা রাইস টুডের প্রধান সম্পাদক জেন পি হেটেল ও বাংলাদেশে নিযুক্ত ইরি প্রতিনিধি ড. পল ফক্স অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞানী ও নীতি নির্ধারক পর্যায়ে বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক বিষয়ে মত বিনিময়ের পাশাপাশি নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশের জনগণের পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে কীভাবে আরো কার্যকর অবদান রাখা যায় সে নিয়ে তারা আলোকপাত করেন।

সফরকালে উপস্থিত বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞরা আধুনিক ধান চাষাবাদ প্রযুক্তি বিশেষ করে লবণসহিষ্ণু ধানের জাতসহ উচ্চফলনশীল ধানের বীজ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণ ব্যবহার করে কৃষক যেভাবে প্রতিকূল পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলার চেষ্টা করছে সেসব বিষয়ে জোর দেন। এলক্ষ্যে তারা দেশের উপকূলীয় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন।

ইরি মহাপরিচালক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের কথা স্মরণ করে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এ দেশে ধান চাষাবাদ নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য আমাদের কর্ম প্রয়াস দ্বিগুণ করতে হবে।’

তিনি বলেন, ব্রি এই উপমহাদেশে ধান গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে খাদ্য রফতানির দেশে উন্নিত হওয়ায় তিনি ধান গবেষণায় ব্রির সাফল্যকে ‘মিরাকেল’ বলে অবহিত করেন।

ব্রির উদ্ভিদ প্রজনন রূপান্তরবিষয়ক কার্যক্রমের উচ্চ প্রশংসা করেন এবং প্রতিষ্ঠানের সার্বিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সরাসরি জানতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করেন। এক্ষেত্রে তার সংস্থার পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন।

ড. জিগলার বাংলাদেশে ভিটামিন এ সমৃদ্ধ গোল্ডেন রাইসের নিয়ন্ত্রিত পরীক্ষণ কার্যক্রম ঘুরে দেখেন। সেইসঙ্গে ব্রির উদ্ভিদ প্রজনন, জৈব প্রযুক্তি, কৃষি যান্ত্রিকায়নসহ বিভিন্ন বিভাগ, জিন ব্যাংক এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় ইনস্টিটিউটের প্রস্তুতি সম্পর্কে আগ্রহ প্রকাশ করেন।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট সকল মহলের পৃষ্টপোষকতা পেলে জিংকসমৃদ্ধ ধান এদেশের জনগণের পুষ্টি চাহিদা পূরণে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখতে পারে এবং অনুরূপভাবে গোল্ডেন রাইসের মাধ্যমে গণমানুষের ভিটামিন এ চাহিদা পূরণের কাজও ত্বরান্বিত হতে পারে।

বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।