সীমান্তের ৯৫০ কিলোমিটার এলাকায় বেড়া দিচ্ছে পাকিস্তান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৫৯ এএম, ১০ জুন ২০১৯

দীর্ঘদিন ধরেই ইরান ও পাকিস্তানের সীমান্ত নিয়ে সমস্যা রয়েছে। কারণ দু’দেশের সীমান্তের বেশিরভাগ অংশই ছিল একেবারে খোলা। ফলে মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন সমস্যার মুখে পড়তে হয় দু’দেশকেই। নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্যাও প্রকট। এমনকি ইরানের মাটিতে জঙ্গি কার্যকলাপ নিয়ে একাধিকবার পাকিস্তানকে দোষারোপ করেছে তেহরান।

সম্প্রতি ইরানি সেনাবাহিনীর উপর আত্মঘাতী হামলার ঘটনাতেও পাক জঙ্গি গোষ্ঠীর সম্পৃক্ততার অভিযোগ আনা হয়েছে। সেকারণেই সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের ব্যবস্থা করতে পাকিস্তানকে চাপ দিয়ে আসছে তেহরান। অবশেষে সেই সমস্যা কাটিয়ে উঠতেই সীমান্তে বেড়া দেয়া সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে খালি অবস্থায় পড়ে থাকা সীমান্তে বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। প্রায় ৯৫০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বেড়া দেওয়া হবে।

এই প্রসঙ্গে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কমান্ডার মোয়াজ্জাম জান আনসারি জানিয়েছেন, সীমান্তে কোনও বেড়া না থাকায় নিরাপত্তাজনিত সমস্যার মুখে পড়তে হত ইসলামাবাদকে। দীর্ঘদিন ধরেই এই বিষয়ে আলোচনা চলছিল। কিন্তু অবশেষে বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যেই পাকিস্তানের সংসদে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে রিপোর্টও দিয়েছেন এই সেনা কর্মকর্তা।

সংসদে দেওয়া তথ্যে মোয়াজ্জাম জান আনসারি জানিয়েছেন, পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশ এবং ইরানের সিস্তান-বেলুচিস্তান প্রদেশ সংলগ্ন এলাকা দীর্ঘদিন বেড়া শূন্য অবস্থায় পড়ে ছিল। আর সে কারণে সীমান্তে পাকাপাকিভাবে বেড়া দেওয়ার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। তার দাবি, দীর্ঘ এই অঞ্চলে সম্পূর্ণ বেড়া দিতে তিন থেকে চার বছর সময় লেগে যাবে।

সেনাবাহিনীর এই কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন, ইরান সীমান্ত সংলগ্ন বেলুচিস্তানে পাকিস্তান সামরিক বাহিনী সম্প্রতি একটি অভিযান চালিয়েছে। আর এই অভিযানে ১৫ জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। অন্যদিকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশি জানিয়েছেন, ইরান সীমান্তে সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে ছয়টি পদক্ষেপ নিয়েছে পাকিস্তান।

‘শান্তির সীমান্ত’ নামের ওই প্রকল্পের আওতায় এসব পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানান তিনি। এছাড়াও সীমান্তের যেসব পথে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর অহরহ আনাগোনা রয়েছে সেসব জায়গায় বেড়া দেওয়ার একটি প্রকল্পও নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গত এপ্রিলে তেহরান সফর করেন। সে সময় ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছিলেন দেশ দুটি ‘যৌথ র্যাপিড রিঅ্যাকশন ফোর্স’ গঠনে সম্মত হয়েছে। সীমান্তে ক্রমাগত বেড়ে চলা সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা করার লক্ষ্যেই এই ফোর্স গঠন করা হচ্ছে।

টিটিএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।