শাহজালালে ১১৮ কার্টুন অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জাম জব্দ


প্রকাশিত: ০৫:১৩ পিএম, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এয়ারফ্রেইট এলাকা থেকে অবৈধভাবে আমদানিকৃত ১১৮ কার্টুন ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রোটকল (ভিওআইপি) সরঞ্জাম জব্দ করেছে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ। এসব সরঞ্জামের আনুমানিক মূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা।

সোমবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। এদিন বিকেলে রাজধানীর কাকরাইলের শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের হেডকোয়ার্টার্সে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান মহাপরিচালক ড. মইনুল খান।

তিনি জানান, ১১৮ টি কার্টনে মোট ৩২ ধরণের ভিওআইপি সরঞ্জাম পাওয়া গেছে। যার মধ্যে ইথানেট, সুইচ গেটওয়ে এবং বিভিন্ন ধরণের রাউটার উল্লেখযোগ্য। এগুলোর কোনো ধরনের রেকর্ড খুজে পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে চোরাচালানের জন্য সরঞ্জামগুলো আনা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে মইনুল খান জানান, ‘কম্পিউটার এক্সেসরিজ’ ঘোষণা করে সরঞ্জামগুলো গত ১০ আগস্ট হংকং থেকে আমদানি করা হয়। এর কোনো রিসিভার না থাকায় এটি এয়ারফ্লাইট ইউনিটে পড়ে ছিল। পণ্যগুলো বিটিআরসি’র অনুমোদন ছাড়াই বের করে নেয়ার চেষ্টা চলছিল।

তবে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা মালামালের উপর নজর রাখি এবং নিয়ম অনুযায়ী ২১ দিন সময় পার হওয়ার পর এর মালিক না পাওয়ায় এগুলো খুলে জব্দ করা হয়। পণ্যের রিসিভার মেসার্স সাদিয়া ট্রেডিংয়ের নাম-ঠিকানা দেয়া থাকলেও সেই ঠিকানায় গিয়ে এমন কোনো আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব মেলেনি।

তিনি আরো বলেন, ভিওআইপি একটি নিষিদ্ধ সরঞ্জাম। এর জন্য নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে এবং সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ভিওআইপি ব্যবহার করে নানা অপরাধ হতে পারে, তবে এই নম্বরগুলো কিংবা অপরাধীকে ট্র্যাক করা যায় না। সন্ত্রাসি কর্মকাণ্ডে ওই নম্বরগুলো বেশি ব্যবহার হয়।

সরঞ্জামগুলো হংকং থেকে আনা হলেও এগুলোর গায়ে কোনো ফ্লাইট নম্বর ছিল না। তবে কারা ফ্লাইট নম্বর উল্লেখ না করে এটি আমদানি করেছে জানতে চাইলে মইনুল খান বলেন, এ সরঞ্জামগুলো দেশে তৈরি হয় না। এগুলো নিশ্চয়ই কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় এখানে এসেছে। এর সঙ্গে কারা জড়িত তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

সরাসরি অপরাধীর নাম না বললেও মহাপরিচালক ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, ‘জড়িতদের কয়েকজনকে অবশ্য এর আগে গ্রেফতার করে রিমান্ডেও নেওয়া হয়েছে।’

এ ঘটনা তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হবে। এতে  অধিদফতরের একজন যুগ্ম কমিশনার, ১ জন সহকারী কমিশনার এবং ১ জন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা থাকবে। ১৫ দিনের মধ্যে তাদের রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।

এআর/এসকেডি/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।