হামলার আশঙ্কায় শ্রীলঙ্কায় ৯ মুসলিম মন্ত্রীর পদত্যাগ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:৫৪ পিএম, ০৪ জুন ২০১৯

শ্রীলঙ্কায় সংখ্যালঘু ৯ মুসলিম মন্ত্রী ও তাদের সহকারী এবং দুই মুসলিম গভর্নর পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। দেশটিতে সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর হামলার ঘটনার জেরে সোমবার তারা এ পদত্যাগের ঘোষণা দেন। দেশটির একটি সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে তুরস্কের সরকারি সংবাদসংস্থা আনাদোলু এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

কলম্বো পেইজ নামের ওই সংবাদমাধ্যম বলছে, ইস্টার সানডের হামলার পর দেশটিতে মুসলিমদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার ব্যর্থ হওয়ায় মুসলিম জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

গত ২১ এপ্রিল ইস্টান সানডের দিনে রাজধানী কলম্বোর বাইরে তিনটি গির্জা ও বিলাসবহুল রেস্তোঁরায় জঙ্গি হামলা হয়। এতে অন্তত ২৫০ জনের প্রাণহানি ঘটে। হামলার তিনদিন পর মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) এর দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয়। যদিও দেশটির সরকার স্থানীয় কট্টরপন্থী মুসলিম গোষ্ঠী ন্যাশনাল তাওহীদ জামাত (এনটিজে) এই হামলার জন্য দায়ী বলে দাবি করেছে।

আরও পড়ুন : বাড়ির সামনে প্রস্রাবে বাধা দেয়ায় পিটিয়ে হত্যা

দেশটির সড়ক, মহাসড়ক উন্নয়ন ও খনিজসম্পদ মন্ত্রী কবির হাশিম বলেন, হামলার পর সবাই ঐকবদ্ধ হলেও কিছু গোষ্ঠী শ্রীলঙ্কাকে অস্থিতিশীল করার পায়তারা করছে। এ জন্য দেশের নিরাপত্তার স্বার্থেই মন্ত্রিসভার মুসলিম সদস্যরা পদত্যাগ করেছেন।

কট্টরপন্থী এনটিজে গোষ্ঠীর সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে শ্রীলঙ্কার পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশের দুই গভর্নর ও মন্ত্রী রিশাদ বাথিউদিনের পদত্যাগের দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেছেন দেশটির কট্টরপন্থী বৌদ্ধ সন্ন্যাসী ও সংসদ সদস্য আথুরালিয়ে রত্নে। গত ৩১ মে থেকে শুরু করা তার এই অনশনের পরিপ্রেক্ষিতে মুসলিম মন্ত্রী ও গভর্নরদের পদত্যাগের ঘোষণা এল।

গত টানা চারদিন ধরে তিনি এই অনশন চালিয়ে আসছেন এবং দেশের কট্টরপন্থী বৌদ্ধদের সমর্থন চেয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর হামলার আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন সংখ্যালঘু মুসলিম মন্ত্রীরা।

সূত্র : আনাদোলু।

এসআইএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।