এখন সব’ই অস্বীকার করছেন ট্রাম্প
যুক্তরাজ্যে সফরে গিয়ে কর্মসূচি অনুযায়ী সোমবারই (৩ জুন) ব্রিটিশ রাজপরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার একদিন পর মঙ্গলবার (৪ জুন) তিনি বৈঠক করবেন রাজনৈতিক নেতাদের সাথে। তবে সফরের আগে সান পত্রিকায় দেওয়া এক সাক্ষাতকার নিয়ে গোল বেধেছে।
ওই পত্রিকায় এক সাক্ষাতকারে রাজপরিবারের সদস্য মেগান মার্কেলকে ‘নোংরা’ বলে মন্তব্য করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও ব্রিটেনের রাণী এলিজাবেথের নাতি প্রিন্স হ্যারির স্ত্রী, ডাচেস অব সাসেক্স, মেগান মার্কেলকে ‘ন্যাস্টি’ অর্থাৎ ‘নোংরা’ বলার কথা অস্বীকার করেছেন ট্রাম্প। তবে ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের অডিও টেপ রয়েছে।
গতকাল রোববার (২ জুন) টুইট করে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি কখনোই মেগান মার্কেলকে নোংরা বলিনি। এগুলো ফেক নিউজ, মিডিয়ার বানানো। সিএনএন নিউইয়র্ক টাইমস ক্ষমা চাইবে? সন্দেহ আছে।’
সাবেক মার্কিন অভিনেত্রী মার্কেল ট্রাম্পের একজন কট্টর সমালোচক ছিলেন। ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় তিনি ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিনটনকে সমর্থন দিয়েছিলেন। সে সময় তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নারী বিদ্বেষী ও বিভাজন সৃষ্টিকারী হিসেবেও মন্তব্য করেছিলেন।
ব্রিটেনের দ্য সান পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে মেগান মার্কেলের এসব মন্তব্য সম্পর্কে ট্রাম্পের কাছে জানতে চেয়েছিল বিবিসি। ট্রাম্প বলেন, ‘আমি এটা জানতাম না। আমি কী আর বলতে পারি? আমি জানতাম না তিনি এমন নোংরা।’
ট্রাম্প আরও বলেন, আমি আনন্দিত। কারণ, মেগান মার্কেল রাজপরিবারে যোগ দিয়েছে এবং আমি বিশ্বাস করি যে মেগান ‘ভালো রাজবধূ’ হবেন। এটা চমৎকার এবং আমি নিশ্চিত যে তিনি ভালো করবেন।
এদিকে শনিবার দ্য সান পত্রিকা তাদের ওয়েবসাইটে একটি অডিও পোস্ট করে। এরপরই বিভিন্ন কমেন্টরদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ওইদিনই টুইট করে মেগান মার্কেলকে ‘নোংরা’ বলার কথা অস্বীকার করেন ট্রাম্প।
প্রিন্স হ্যারির স্ত্রী, ডাচেস অব সাসেক্স, মেগান মার্কেল মে মাসে তাদের প্রথম সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। এখনও তিনি মাতৃত্বকালীন ছুটিতে রয়েছেন। ফলে ৩ ও ৫ জুন ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফরের সময় তিনি সাথে সাক্ষাৎ করবেন না বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরএস/এমকেএইচ