কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, ত্রাণ অপ্রতুল


প্রকাশিত: ০৯:১৫ এএম, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫

ধরলা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বাড়তে থাকায় কুড়িগ্রামের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ৪৪ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ৪০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

এদিকে, পানিবন্দি মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য সংকট। কিন্তু সরকার কিংবা বেসরকারি উদ্যোগে ত্রাণ তৎপরতা অপ্রতুল। বন্যা পরিস্থিতি দেখতে মঙ্গলবার সকালে কুড়িগ্রাম আসছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া (বীর বিক্রম)।

জানা গেছে, জেলার ৯টি উপজেলার ৬৫টি ইউনিয়নের ৪শ৫টি চর-দ্বীপ চর এবং নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় প্রায় ৫ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। প্লাবিত হয়েছে আরো নতুন নতুন এলাকা। রৌমারীর যাদুর চর ইউনিয়নে জিঞ্জিরাম নদীর তীব্র স্রোতে লালকুড়া রাবার ড্যাম রোডের প্রায় ৩০ মিটার ভেঙে গেছে। একই ইউনিয়নের ধনারচর গ্রামের বেড়ি বাঁধের ৮শ ফিট ভেঙে গেছে।

এছাড়া লালকুড়া থেকে বকবান্ধা ব্যাপারীপাড়া সড়কে তিন কি.মি. রাস্তা ভেঙে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। তিনদিনে ইউনিয়নে শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি ভেসে গেছে। যাদুর চর ইউনিয়নের পাহাড়তলী, যাদুরচর,কোমরডাঙ্গি, ঝুনারচর, খেয়ারচর মৌজার ৫৩টি গ্রামের মধ্যে ৪৫টি গ্রাম বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। কাজ ও চরম খাদ্য সংকটে পড়েছে বন্যা কবলিত মানুুষরা। অনেকেই নিজের বাড়িতে মাচার উপর অবস্থান নিয়েছেন।

Kurigram-Flood

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজার রহমান জাগো নিউজকে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ধরলায় ২ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। তবে  ব্রহ্মপুত্রে ৪ সেন্টিমিটার, দুধকুমারে ৭ সেন্টিমিটার পানি কমেছে।

জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমিন জাগো নিউজকে জানান, সোমবার বন্যার্তদের জন্য নতুন করে ৫০ মেট্রিক টন চাল ও তিন লাখ ৫৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ঢাকা থেকে বরাদ্দ পাওয়া গেছে ১০০ মে.টন চাল ও ৩ লাখ টাকা। জেলায় কম বেশি প্রায় ৫ লাখ মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণে আরো ত্রাণ বরাদ্দ চেয়ে পত্র পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরো জানান, বন্যা পরিস্থিতি সরেজমিন দেখতে মন্ত্রী হেলিকপ্টারযোগে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯ টায় চিলমারী উপজেলার ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ন হ্যালিপ্যাডে অবতরণ করবেন। পরে তিনি নৌ-পথে বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন করবেন এবং বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করবেন। তার সফর উপলক্ষে সোমবার দুপুরে চিলমারী উপজেলা পরিষদে এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

নাজমুল হোসেন/এসএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।