ভারতের নতুন শিক্ষামন্ত্রীর ডিগ্রি ভুয়া!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৫৭ পিএম, ০১ জুন ২০১৯

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন নবগঠিত মন্ত্রণালয়ের শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্কর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে দেশটিতে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে। আর এই বিতর্ক শুরু হয়েছে তার নামের আগে লাগানো ডক্টরেট উপাধি নিয়ে।

দেশটির একটি দৈনিক বলছে, বৃহস্পতিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তার মন্ত্রীরা শপথ নিয়েছেন। এরপর শুক্রবার দুপুরে বণ্টন করা হয় দফতর। নতুন মন্ত্রিসভায় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী হয়েছেন রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক। মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের হাতেই দেশটির শিক্ষা বিভাগের দায়িত্ব। অর্থাৎ শিক্ষামন্ত্রীই নির্বাচিত হয়েছেন হরিদ্বারের বিজেপি সাংসদ।

সাবেক মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরের হাত থেকে শিক্ষা দফতরের দায়িত্ব নিচ্ছেন তিনি। কিন্তু যিনি শিক্ষা দফতরের দায়িত্ব নিচ্ছেন তার নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। নামের আগে ‘ডক্টর’ উপাধি ব্যবহার করেন রমেশ পোখরিয়াল। তার দাবি, শ্রীলঙ্কার ওপেন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি তাকে জোড়া ডক্টরেট খেতাব দিয়েছে।

৯০-এর দশকে একবার সাহিত্যে অবদানের জন্য সেখান থেকে সাম্মানিক ডক্টরেট উপাধি পেয়েছিলেন। এরপর কয়েক বছর আগে ওই একই বিশ্ববিদ্যালয় তাকে বিজ্ঞানে অবদানের জন্য আবারও সাম্মানিক ডক্টরেট উপাধি দিয়েছিল। যদিও ওই নামে শ্রীলঙ্কায় কোনো রেজিস্টার্ড বিশ্ববিদ্যালয় নেই বলে দাবি করেছে একাধিক সংবাদমাধ্যম।

পোখরিয়ালকে ঘিরে বিতর্ক অবশ্য নতুন নয়। গত সরকারে থাকাকালীন সংসদে তার একটি বক্তব্য নিয়ে চরম শোরগোল শুরু হয়। সংসদে পোখরিয়াল মন্তব্য করেন, জ্যোতির্বিদ্যা বিজ্ঞানের চেয়ে এগিয়ে। তার এই দাবি নিয়ে রীতিমতো হাসির রোল পড়ে যায়।

সংসদে আলোচনায় তৎকালীন সাংসদ নিশাঙ্ক বলেছিলেন, ‘জ্যোতিষচর্চার কাছে বিজ্ঞান কিছুই নয়, তুচ্ছ ব্যাপার! জ্যোতিষচর্চাই হল সবচেয়ে বড় বিজ্ঞান। বিজ্ঞানের থেকেও এটা বড় বিষয়। আমাদের সত্যিই বিষয়টি নিয়ে প্রচার করা উচিত।’তিনি আরও বলেছিলেন, ‘আমরা আজকাল পরমাণু বিজ্ঞান নিয়ে আলোচনা করি। কিন্তু লক্ষ বছর আগেই কণাদ পরমাণু পরীক্ষা করেছিলেন। অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জ্ঞানও অনেক দিন আগে থেকে রয়েছে আমাদের।’

এসআইএস/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।