প্রথম নারী অর্থমন্ত্রী পেল ভারত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:১৬ পিএম, ৩১ মে ২০১৯

মোদির দ্বিতীয় মেয়াদের মন্ত্রিসভায় দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন গত মেয়াদের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর কাছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থাকলেও ৪৮ বছর পর এই প্রথম পূর্ণ মেয়াদের জন্য কোনো নারীকে অর্থমন্ত্রী করা হলো ভারতে।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে, ১৯৬৯ সালের জুলাই থেকে ১৯৭০ সালের জুন পর্যন্ত অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। তবে পূর্ণ সময়ের জন্য স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসেবে নির্মলা সীতারমণ হলেন দেশটির প্রথম নারী অর্থমন্ত্রী।

মোদি এবারের মন্ত্রিসভায় গত মেয়াদে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করা রাজনাথ সিং’কে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন। ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সভাপতি অমিত শাহকে প্রথমবারের মতো মন্ত্রিত্ব দিয়েছেন মোদি। তিনি পেয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

আরও পড়ুন>> অমিত শাহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষায় রাজনাথ সিং

দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু প্রদেশের তিরুচিরাপল্লিতে ১৯৫৯ সালের ১৮ই আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন নির্মলা সীতারমণ। তার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় ১৩ বছর আগে। বাবা ছিলেন ভারতীয় রেলের কর্মী। দিল্লির জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর পাস করেছেন নির্মলা।

২০০৬ সালে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দেয়া নির্মলা ২০১০ সালে দলের জাতীয় মুখপাত্র হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান তিনি। ইন্দিরা গান্ধীর পর সীতারমণই ছিলেন ভারতের দ্বিতীয় নারী প্রতিরক্ষা মন্ত্রী।

গত বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি ভবনে আনুমানিক ৬ হাজার আমন্ত্রিত অতিথির সামনে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন মোদি। একই দিনে তার ৫৭ সদস্যের মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যরাও শপথ নেন। মোদির মন্ত্রিসভায় এবার পূর্ণ মন্ত্রী করা হয়েছে ২৪ জনকে। তাছাড়া ৯ জনকে করা হয়েছে স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী। বাকি ২৪ জন প্রতিমন্ত্রী। পশ্চিমবঙ্গ থেকে দুজন আছেন মোদির মন্ত্রিসভায়।

এসএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।