শরীরের এই হাল করে এখন তিনি মৃত্যুঝুঁকিতে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৫৯ পিএম, ৩১ মে ২০১৯

মার্ভেল কমিক্সের অন্যতম জনপ্রিয় সুপার হিরো হাল্ক। এ কাল্পনিক চরিত্রের শরীর পেশীবহুল। তর্জন গর্জনও ভয়ঙ্কর। দেখতে দানবের মতো। পছন্দের এই সুপার হিরোর মতো হতে চেয়েছিলেন ব্রাজিলের বডি বিল্ডার ভালদির সেগাতো।

বিশাল শরীর বানাতে তিনি ইনজেকশন নেয়া শুরু করেন। এক পর্যায়ে তার সে ইচ্ছা পূরণও হয়। কিন্তু ইনজেকশনের ভয়াবহ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে অবহিত করে চিকিৎসকরা তাকে তা নিতে নিষেধ করেন। কে শোনে কার কথা! ২৩ ইঞ্চি পেশী বানাতে আজও ইনজেকশন নিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

ভালদির সেগাতো পেশায় নির্মাণ শ্রমিক। তিন বছর আগে এসব ইনজেকশন নেয়ার ব্যাপারে চিকিৎসকরা তাকে সতর্ক করে দেন। কারণ এ ইনজেকশন টানা নিতে থাকলে মারাত্মক মৃত্যুঝুঁকিতে পড়তে হতে পারেন তিনি।

স্ট্রোকসহ নানা রকম স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও হাল্কের মতো পেশী, কাঁধের মাংস বাড়াতে প্রথম দিকে সিনথলের ইনজেকশন নেয়া শুরু করেন সেগাতো। এই ইনজেকশন এক ধরনের তেল, ব্যথানাশক ও অ্যালকোহল দিয়ে তৈরি।

কিশোর বয়স থেকেই মাদকাসক্ত ছিলেন ভালদির সেগাতো। তিনি এতোই পাতলা ছিলেন যে সবাই তাকে ‘স্কিনি ডগ’ বলে ডাকতো। সেগাতো বলেন, অল্প বয়সে আমি মাদকাসক্ত হয়ে পড়ি এবং ওজন কমতে থাকে। কারণ আমি খেতে পারতাম না। একটা খারাপ জীবন ছিল আমার।

সবাই স্কিনি ডাকায় তার মাথায় ঘুরতো কীভাবে বিশাল শরীর বানানো যায়। এসব ভেবে এক সময় মাদক নেয়া বন্ধ করে জিমে ভর্তি হন সেগাতো। কিন্তু জিম করে যে শরীর অর্জন করা যায়, তার থেকে বেশি পেতে চেয়েছিলেন তিনি। হঠাৎ একদিন জিমের একজন তাকে শরীরে সিনথলের ইনজেকশন নেয়ার প্রস্তাব দেয়। দ্রুত বিশাল পেশী বানানোর নেশায় সিনথল নেয়া শুরু করেন সেগাতো।

মূলত হলিউডের অভিনেতা আর্নল্ড শোয়ার্জনেগার ও কাল্পনিক চরিত্র হাল্ক দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি এমন শরীর বানানো শুরু করেন। তার এ বিশাল শরীরের জন্য স্থানীয়রা তাকে এখন ‘দৈত্য’ বলে ডাকে। এতে বেশ গর্বিত তিনি।

সেগাতো বলেন, এলাকার মানুষ সব সময় আমাকে হাল্ক, শোয়ার্জনেগার বলে ডাকে। এগুলো শুনতে আমার ভালো লাগে। আমার পেশী দ্বিগুণ করেছি। তবে আমি আরও বিশাল হতে চাই।

সিনথলের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ভয়াবহ। এটা নার্ভকে দুর্বল করে দেয়। সেই সঙ্গে ফুসফুস, সেরিব্রাল স্ট্রোকসহ নানা রকম সংক্রামক জটিলতা দেখা দিতে পারে। একটি সিনথলের ইনজেকশনে ৮৫ শতাংশ তেল (বেশিরভাগ তিলের তেল), ৭.৫ শতাংশ লিডোকেইন, ব্যথানাশক এবং ৭.৫ শতাংশ অ্যালকোহল থাকে।

সূত্র : ডেইলি মেইল

এমএসএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।