শার্ট-জিন্স পরে সংসদে মিমি-নুসরাত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:০৫ এএম, ২৯ মে ২০১৯

পশ্চিমা পোশাকে সংসদে যাওয়ায় ভারতের তৃণমূল কংগ্রেসের নবনির্বাচিত দুই সাংসদ মিমি চক্রবর্তী এবং নুসরাত জাহানকে সামাজিক মাধ্যমে প্রবল সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছে। সোমবার শার্ট, জিন্স আর টপস পরেই সংসদে উপস্থিত হন এই দুই জনপ্রিয় অভিনেত্রী।

তবে সমালোচনার পাশাপাশি অনেকেই তাদের সমর্থনও করেছেন। শাড়ি পরেই সাধারণত নারী সাংসদরা সংসদে আসেন। সেখানে অন্য পোশাকে এই দুই সাংসদকে স্বাগত জানিয়েছেন অনেকেই।

যারা তাদের পোশাক নিয়ে আপত্তি করেছেন তাদের দাবি, নুসরাত ও মিমি সংসদে ‘উপযুক্ত পোশাক' পরে আসেননি। সামাজিক মাধ্যমে একজন লিখেছেন, সংসদ কোনও ফটো স্টুডিও নয়। আবার মিমিকে লক্ষ্য করে একজন বলেছেন, উনি এই পদের যোগ্য নন।

তবে অনেকেই তাদের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন। একজন নুসরাতকে তার পোশাকের জন্য প্রশংসা করেছেন। অন্য একজন দু'জনকে জয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়ে তাদের উৎসাহ দিয়ে বলেন, সিংহীর মতো কাজ করতে।

তবে নেতিবাচক মন্তব্যই বেশি এসেছে। দুই টলিউড অভিনেত্রী সোমবার সংসদ চত্বরে আইডি কার্ড নিয়ে ছবি তোলেন। মিমি চক্রবর্তী সেই ছবি পোস্ট করেন নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে। নুসরাতকে সেখানে ট্যাগ করে লেখেন-এবং আমরা আবার। সংসদে প্রথম দিন। মিমির পরনে ছিল সাদা শার্ট ও নীল জিন্স এবং নুসারত জাহান পরেছিলেন টপস ও প্যান্ট।

নুসরাতও টুইটারে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। সংসদের সামনে দাঁড়িয়ে তোলা সেই ছবির সঙ্গে তিনি ধন্যবাদ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সেই সঙ্গে ধন্যবাদ দেন তার সংসদীয় এলাকার মানুষকে, যাদের ভোটে তিনি অনায়াসে জয় পেয়েছেন।

৩০ বছরের মিমি কলকাতার যাদবপুর কেন্দ্রে প্রায় ৩ লাখ ভোটে জয়লাভ করেছেন। ২৯ বছরের নুসরাত জাহান বসিরহাট থেকে সাড়ে তিন লাখ ভোটে জয়লাভ করেছেন। দুই কেন্দ্র থেকেই ২০১৪ সালে তৃণমূল জিতেছিল দেড় লাখেরও কম ভোটে।

তৃণমূল ৪২ আসনের মধ্যে ১৭টি আসনে মহিলা প্রার্থী দিয়েছিল। দুই তরুণী অভিনেত্রীকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করার পর থেকেই সামাজিক মাধ্যমে ট্রোল করা হচ্ছিল।

কোনও নারী রাজনীতিবিদকে পোশাকের জন্য সমালোচনা করার ঘটনা এই প্রথম নয়। কয়েক মাস আগেও কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকেও ট্রোল হতে হয়েছিল সামাজিক মাধ্যমে।

টিটিএন/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।