রাহুলের পদত্যাগ আটকে দিল কংগ্রেস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৫২ পিএম, ২৫ মে ২০১৯

ভারতের ১৭তম লোকসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। তবে নির্বাচনে আশানুরূপ ফল করতে পারেনি প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। এদিকে দলের ব্যর্থতার দায় নিজের কাঁধে নিয়ে পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।

শনিবার কংগ্রেস পার্টির এক বৈঠকে পদত্যাগের কথা জানান রাহুল। কিন্তু দলের তরফ থেকে তার এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। এই নির্বাচনে সাড়ে তিনশোর বেশি ভোট পেয়েছে বিজেপি এবং তাদের শরিক দলগুলো।

৫৪২ আসনের লোকসভার নির্বাচনে একক দল হিসেবে বিজেপি একাই ৩০৩টি আসনে জয় পেয়েছে। এছাড়া বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গীরা ৫১ এবং প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস পেয়েছে ৫২টি আসন।

কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে রাহুল গান্ধী, তার মা সোনিয়া গান্ধী, বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং উপস্থিত ছিলেন। এদিকে, ওয়ার্কিং কমিটির ওই বৈঠকে কংগ্রেস সভাপতি কী করতে যাচ্ছে তা নিয়ে আগে থেকেই জল্পনা শুরু হয়।

রাহুল পদত্যাগ করতে পারেন এমন কথা শুনেই দলের নবীন নেতারা দিল্লিতে আসতে শুরু করেন। দলের নেতারা কর্মীরা চান না যে, রাহুল কোনোভাবেই পদত্যাগ করুন।

দলে শীর্ষ পদের প্রত্যাশী যে কেউ নেই, তা নয়। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, সভাপতির ইস্তফার প্রসঙ্গ ভিত্তিহীন ও অপ্রাসঙ্গিক। এটা আমরা কখনওই মানব না। রাহুল গান্ধীর অক্লান্ত পরিশ্রম ও লড়াকু মেজাজের কারণেই এনডিএ-কে শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছিল কংগ্রেস। অপর একটি টুইটে রাহুলের নেতৃত্বকে ‘দৃষ্টান্তমূলক’ আখ্যা দিয়েছেন তিনি।

অনিল শাস্ত্রীর মন্তব্য, রাহুল গান্ধীর ইস্তফা দেওয়া কোনও কাজের কথা নয়। ইস্তফা দেওয়া মানে দায়িত্ব থেকে পালিয়ে যাওয়া। বরং এই পরিস্থিতির মুখোমুখি দাঁড়িয়ে লড়াই করে যেতে হবে।

প্রবীণ নেতাদের অনেকেই মনে করছেন, নিজের আশপাশে রাহুল যাদের রেখেছেন, তারাই ভুল পরামর্শ দিয়েছেন। এসব ভুল নিয়ে নতুন চিন্তাভাবনা করে এগোতে হবে।

টিটিএন/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।