ভারতে আশ্রমে একাধিক গরুকে ধর্ষণ, যুবক গ্রেফতার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:১৪ পিএম, ২২ মে ২০১৯

ভারতের উত্তরপ্রদেশে গোশালায় রাখা একাধিক গরুকে ধর্ষণের দায়ে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিশ। ন্যাক্কারজনক এ ঘটনা ঘটেছে প্রদেশের ফৈজাবাদের অযোধ্যার একটি গোশালায়।

ভারতীয় একটি দৈনিক বলছে, গ্রেফতারকৃত যুবকের নাম রাজকুমার। গোশালার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, বিভিন্ন সময়ে গোশালার একাধিক গরুকে ধর্ষণ করেছে ওই যুবক। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ওই যুবককে শনাক্ত করার পর গ্রেফতার করে পুলিশ।

পুলিশ বলছে, ওই যুবক ফৈজাবাদের নবাবগঞ্জের গোণ্ডা এলাকার বাসিন্দা। কাজের সূত্রে অযোধ্যার কর্তালিয়া বাবা আশ্রমের গোশালায় প্রায়ই যাতায়াত ছিল তার। সেই সুযোগে গোশালার সাতটি গরুকে নিজের লালসার শিকার করে অভিযুক্ত ওই যুবক।

আরও পড়ুন : চলন্ত বিমানে কিশোরীর সঙ্গে যৌনতা, কাঠগড়ায় ধনকুবের

গোশালার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ঘটনাটি প্রথম প্রকাশ্যে আনেন আশ্রমের নিরাপত্তারক্ষীরা। একাধিক গরুকে ধর্ষণে অভিযুক্ত ওই যুবককে আটক করতে করতে ফাঁদ পাতেন নিরাপত্তারক্ষীরা। তাকে নজরদারিতে রাখতে স্বেচ্ছাসেবকদের নির্দেশ দেয় আশ্রম কর্তৃপক্ষ।

চলতি সপ্তাহে আবারও গোশালায় প্রবেশের পর একই কাজের চেষ্টা চালায় রাজকুমার। তখনই তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে গোশালার নিরাপত্তারক্ষীরা। তাকে আটকের পর বেধড়ক মারধর করে তারা। পরে অযোদ্ধা পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয় তাকে।

গ্রেফতারকৃত রাজকুমারের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ও ৫১১ ধারায় পশু নির্যাতনের মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অযোধ্যা পুলিশের এসপি যোগেন্দ্র কুমার। জিজ্ঞাসাবাদে রাজকুমার নিজের অপকর্মের দায় স্বীকার করে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন : মোদিকে কেন আবার ক্ষমতায় চান না মানুষ?

তবে গরুকে ধর্ষণের সময় মদ্যপ অবস্থায় ছিল বলে দাবি করেছে রাজকুমার। কর্তালিয়া বাবা আশ্রমের এক ধর্মগুরু বলেন, সিসিটিভি ফুটেজে ওই যুবককে সাতটি গরুর সঙ্গে অপকর্মে লিপ্ত হতে দেখা যায়।

চলতি বছরের শুরুর দিকে দিল্লি-এনসিআর এলাকায় একই ধরনের একটি ঘটনা ঘটে। ওই সময় একটি গর্ভবতী ছাগলকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে আট ব্যক্তির বিরুদ্ধে। পরে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।

এসআইএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।